ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

গোয়ালন্দে ঘুষের টাকা আদায়ে অধ্যক্ষের নোটিশ ভাইরাল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
গোয়ালন্দে ঘুষের টাকা আদায়ে অধ্যক্ষের নোটিশ ভাইরাল

রাজবাড়ী: সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষের ঘুষের টাকা আদায়ের একটি নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা মুখরোচক গল্প।

 

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কলেজটির অধ্যক্ষ বলেছেন, সরকারি দপ্তরে বিভিন্ন কাজে অর্থ লাগে, তাই তিনি এ কাজ করেছেন।

ভাইরাল হওয়া ওই নোটিশটি সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের প্যাডে লেখা। এতে গত ২০ জুন স্বাক্ষর করেছেন অধ্যক্ষ মো. আইয়ুব আলী সরকার।

নোটিশে লেখা হয়েছে, ‘এতদ্বারা অত্র কলেজের সকল শিক্ষক কর্মকর্তাকে জানানো যাচ্ছে যে, সরকারিকরণের কাজে ব্যয় করার জন্য জনপ্রতি ৫০০০ টাকা ২০-০৬-২০২৪ খ্রি. বৃহস্পতিবারের মধ্যে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট জমা দেওয়ার জন্য বলা হলো। ’

গোয়ালন্দের এই কলেজটির সরকারিকরণের প্রজ্ঞাপন হয় ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে। কিন্তু এরপরও সরকারি কাজের অজুহাত দেখিয়ে দফায় দফায় শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আর সবশেষ গত ২০ জুন আবারও পাঁচ হাজার টাকা চেয়ে নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজটির একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, কোনো ধরনের নির্বাচন ছাড়াই কলেজের শিক্ষকদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মূলত বোর্ডে যাতায়াত বাবদ খরচ তোলার নামে অধ্যক্ষ নিজেদের ইচ্ছেমতো শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেন।

এ বিষয়ে সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আইয়ুব আলী সরদার বলেন, তিনি নিজেই সরকারি কর্মকর্তা ও বেতন পান। কিন্তু কলেজটি সরকারি হওয়ায় তাদের বেতন চালু করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যেতে টাকা খরচ হয়। ‘সেখানে কর্মকর্তাদের টোকেন মানি হিসাবে কিছু দিতে হয়। এছাড়া বিভিন্ন অফিসে ঘোরাঘুরি করার জন্য ঢাকায় যাওয়া আসা এবং থাকার একটা খরচ আছে’।  

এই টাকা ঘুষের জন্য নিচ্ছেন বলতে নারাজ কামরুল ইসলাম।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।