বাকৃবি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা প্রশাসনের সহায়তায় অনৈতিকভাবে জয়লাভ করেছেন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সোনালী দল।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে সোনালী দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম।
লিখিত বক্তব্যে ড. হাশেম বলেন, নবীন শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, অন্যান্য শিক্ষকদের পদোন্নতি, শিক্ষা ছুটি, আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আশ্বাস দিয়ে আওয়ামীপন্থি প্যানেলে ভোট দিতে বাধ্য করেছেন আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা। ভোট নিশ্চিত করতে মোবাইল ফোনে ব্যালেটের ছবি তুলতেও নির্দেশ দেওয়া হয় তাদের।
তিনি আরও বলেন, সোনালী দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন শুরু আগেই ভোটকেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল ও ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা ওই বিজ্ঞপ্তি তুলে ফেলার জন্য ভোটকেন্দ্রের প্রধান ফটকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে সোনালী দলের প্রবল বিরোধীতা সত্ত্বেও ওই বিজ্ঞপ্তি তুলে ফেলতে বাধ্য হয় নির্বাচন কমিশন।
সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা নির্বাচনে অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করেছেন। উপাচার্য ভোট দিতে আসার পর তাকে বিষয়টি অবহিত করা হলে এমনটি আর হবে না বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। তার আশ্বাসই নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণ দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে সোনালী দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইদ্রিস মিয়া বলেন, সাধারণ সভা করে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী প্যানেলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এমএএম ইয়াহিয়া খন্দকার বলেন, সোনালী দলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মঙ্গলবার ২০১৪ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১টি পদের ৮টিতে জয়লাভ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪