রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও বিভিন্ন বিভাগে চালুকৃত সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা বিভিন্ন কর্মসূচি শেষে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।
এর আগে বেলা ১১টায় বিভিন্ন বিভাগের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তারা বর্ধিত ফি প্রত্যাহার ও সান্ধ্য কোর্স বাতিল দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। সবশেষে তারা প্রশাসন ভবন অবরোধ করেন। এতে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসলিমা তাহরিন, খাদেমুল বাসার, সাজেদুল সাজু, শিরিন আক্তার, আশরাফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, আবু সুফিয়ান, উৎসব মোসাদ্দেক, মিঠুন রায়, সোহান রেজা, প্রদীপ মাইদি প্রমুখ।
অবরোধ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘটের ডাক দেন। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন এর আওতামুক্ত থাকবে।
ছাত্র সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবু নাসের, ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক সুস্মিতা চক্রবর্তী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী মামুন হায়দার প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, আমরা ইতিমধ্যে উপ-উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছি। কমিটি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তুলে ধরবে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ব্যাপারে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের অবস্থান জানিয়েছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ক্রমবর্ধমানহারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এ খাতে আদায়কৃত অর্থ ও বাজেট বরাদ্দ থেকে সামগ্রিক ব্যয় সংকুলান করা যাচ্ছি প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা। তাই বৃদ্ধিকৃত ফি আদায়ের মাধ্যমে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টাকা আদায় হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৪