ইবি (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০১৪ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলায় ক্যাম্পাসের শিক্ষক রাজনীতি এখন তুঙ্গে।
তিন বছর পরে আওয়ামীপস্থি শিক্ষকদের দু’টি ফোরাম বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও শাপলা ফোরাম এবার যৌথভাবে একক প্যানেল দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।
অপরদিকে, বিএনপি ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের দু’টি সংগঠন গ্রিন ফোরাম ও জিয়া পরিষদ যৌথ প্যানেল দিলেও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এর ফলে প্রায় এক যুগ পর এ বছর শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের ফল আওয়ামীপন্থিদের পক্ষে যাচ্ছে তা অনেকটা নিশ্চিত। এ নিয়ে প্রগতিশীল শিক্ষকদের মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে বিপত্তি রয়েছে অন্যখানে। উভয় প্যানেলের প্রার্থীরা নিজ দলীয় গ্রুপিং নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়। তারা বিশ্বাস করতে পারছেন না ভোটার শিক্ষকদের।
উভয় প্যানেল থেকে ভোটকেন্দ্রে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন সঙ্গে করে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোট দিয়ে প্রমাণ হিসেবে ব্যালট পেপারের ছবি তুলে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এনিয়ে উভয় শিবিরের অনেক শিক্ষদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, বিষয়টি অবৈধ। কারণ নির্বাচনী আচরণ বিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো ভোটার মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের এই নিয়ম অমান্য করে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢুকতে পারেন ভোটাররা এমন আশঙ্কাও করছেন নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে শিক্ষকদের এভাবে অবিশ্বাস করা মানে তাদের অপমান করা। যদি তাদের এতোই সন্দেহ হয়, তাহলে নির্বাচন দেওয়ার কি দরকার? কোন প্যানেলে কতজন শিক্ষক আছে দেখেই ফল ঘোষণা করলেই হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সোলায়মান বাংলানিউজকে জানান, ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এরপরেও যদি কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে যায় তাহলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। এটা করা হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪