ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুয়েটে ইআইসিটি-২০১৩ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪
কুয়েটে ইআইসিটি-২০১৩ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তিন দিনব্যাপী প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেক্ট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি-২০১৩) শুরু হয়েছে।
 
তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদের আয়োজনে কুয়েট অডিটরিয়ামে বিকেল ৪টায় কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।



উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা আজ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছি। তাই এই সম্মেলন দেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের বর্তমান জনগোষ্ঠীকে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানে শিক্ষিত করতে পারলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব হবে, এই সম্মেলন সেক্ষেত্রে একটি অর্থবহ ভূমিকা পালন করবে।

কুয়েটের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী মোল্লার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. রেজওয়ান খান ও ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুবির কুমার সরকার।
 
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলনের অর্গানাইজিং চেয়ার প্রফেসর ড. আশরাফুল গণি ভূইয়া।

বক্তারা টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজির উন্নয়ন ও ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. এম. রেজওয়ান খান ও প্রফেসর ড. সুবির কুমার সরকার।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার চারটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এগুলো উপস্থাপন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল অব কম্পিউটার সায়েন্স ইউনিভার্সিটি অব ওকলাহোমার প্রফেসর মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর জাভেদ আই. খান, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ফ্লোরিডার প্রফেসর মুহাম্মদ এইচ. রশীদ ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম.এম.এ. হাসেম।

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে বিশ্বের ১৪টি দেশের চার শতাধিক গবেষণা পেপার থেকে ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউয়ের মাধ্যমে বাছাইকৃত ১০৬টি টেকনিক্যাল পেপার মোট ২৪টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হবে এবং সেরা তিনটি পেপারকে পুরস্কৃত করা হবে।

সম্মেলনে টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপন ছাড়াও সুন্দরবন ও মংলা পোর্ট পরিদর্শন এবং কনফারেন্স ডিনারের ব্যবস্থা থাকবে। সম্মেলনে দেশ-বিদেশী গবেষক, শিক্ষক, দেশের স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদরা অংশ নিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।