রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক(সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা শিক্ষার্থীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
শনিবার এ ইউনিটে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমে এমসিকিউ পদ্ধতিতে জোড়-বিজোড়ের ভিত্তিতে আলাদা আলাদাভাবে ৮০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষার প্রশ্নে উল্লেখ করা হয়েছে যারা বাংলা, আরবি, ইংরেজি, নাট্যকলা ও সঙ্গীত, চারুকলা এবং ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিষয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক তাদের বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষা দিতে হবে।
যারা এই এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে তাদের পুনরায় বাংলা, আরবি, নাট্যকলা ও সঙ্গীত, চারুকলা ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে, ইংরেজির জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে না।
এভাবে যারা উত্তীর্ণ হতে পারবে তারাই বাংলা, আরবি, ইংরেজি, নাট্যকলা ও সঙ্গীত, চারুকলা এবং ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে। যা পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে জটিল পদ্ধতি বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অসংখ্য পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা ইসরাত জাহান নামে ভুক্তভোগী এক পরীক্ষার্থী জানান, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম-পদ্ধতি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ও জটিল। এভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আমাদের খুব বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আসা ভুক্তভোগী এক অভিভাবক জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারনকারীরা তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের কথা ভেবে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না। বাড়তি লাভের জন্য নিজেদের সুবিধা মতো আইন প্রণয়ন করে থাকে। যা মেনে নিতে সব অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাংলা, ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আরবি, দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ইসলাম শিক্ষা ও দুপুর ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত চারুকলা বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৪