ইবি(কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে শনিবার সকাল থেকে ছাত্রদলের ধর্মঘট চলছে। এ সময় ৪টি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আটক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামানের মুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ছাত্রদল সকাল থেকেই ধর্মঘট পালন করছে। এ ধর্মঘটের মধ্যে ক্যাম্পাস সচল রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কয়েকটি বাস পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাসে আসার পথে বিত্তিপাড়া এলাকায় পৌঁছালে চারটি বাসে ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, ধর্মঘটের মধ্যে ভাঙচুরের আশঙ্কায় ভাড়ায় চালিত বাস দিতে অসম্মতি জানিয়েছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া পরিবহন মালিক সমিতি।
ফলে, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে সকাল ৮টার ভাড়া করা কোনো বাস ক্যাম্পাসে না আসায় পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি বিভাগে। এছাড়া কয়েকটি বিভাগের ক্লাস রুম ও প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়ায় ক্লাস হচ্ছে না কোনো বিভাগে।
এর আগে ৫ জানুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি একই দাবিতে ক্যাম্পাসে দুই দফায় ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেয় ছাত্রদল। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ছাত্রদল।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি আদায় না হওয়ায় বৃহস্পতিবার প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শনিবার ও রোববার আবারো ছাত্রধর্মঘটের ডাক দেয় ইবি শাখা ছাত্রদল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো গাড়ি ভাঙচুর হয়নি। ক্যাম্পাসে আসার পথে কয়েকজন ক্যাম্পাসের বাস লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ে পালিয়ে গেছে।
এদিকে, ইবি ছাত্রদল শাখার সভাপতি ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, ক্যাম্পাসের গাড়ি ভাঙচুরের সঙ্গে ছাত্রদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বারবার আশ্বাস দিয়েও দাবি পূরণ করছে না।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা কোনো অযৌক্তিক দাবি পূরণ করবো না। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আটক রয়েছে, এটা আইনি প্রক্রিয়া। এখানে আমরা যেটা পারি সুপারিশ করে তার শাস্তি কিছুটা কমাতে পারি কিন্তু তার মুক্তি তো আর আমাদের হাতে না। ”
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪