ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উপেক্ষিত সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪
উপেক্ষিত সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

সিলেট: সুবিশাল ভবনের পর ভবন, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাব- সবই আছে, শুধু নেই সরকারি উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠার ৭ বছরেও নিয়োগে দেওয়া হয়নি শিক্ষক।

গত ৫ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক না থাকায় বন্ধ হওয়া দুটি বিভাগ চালুর দাবি জানালেও তা পূরণ হয়নি। ।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার আবারও  ক্ষমতায় আসায় শিক্ষার্থীরা এবার জোরালো দাবি জানাচ্ছেন। ক্ষমতায় এলে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী, এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন চান তারা।

শুক্রবার সিলেটে এসে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বক্তৃতায় সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সংকট সমাধানের ঘোষণা চায় শিক্ষার্থীরা।

মিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শিক্ষার্থী নিলয় পাল বাংলানিউজকে জানান, সিলেটে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সফরে শিক্ষার্থীরা একই দাবি তুলেছেন। বছরের পর বছর সেই দাবি পূরণ হচ্ছে না।

তিনি জানান, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষক না থাকায় বন্ধ হওয়া দুটি বিভাগ চালুর দাবিতে তারা শিগগিরই কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছেন। সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে এই আন্দোলন হবে।

শিক্ষার্থী লামিয়া সামির বাংলানিউজকে জানান, শুধু রাজনৈতিক কারণে ৭ বছর ধরে কলেজটি অবহেলার শিকার। বিএনপি সরকারের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের স্বপ্ন নিয়ে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলেই গত পাঁচ বছর এখানে নজর দেননি ক্ষমতাসীনরা।

তার দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় যেন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত সংকটে না পড়ে। অচিরেই শিক্ষক নিয়োগ ও বন্ধ হওয়া বিভাগ চালু করতে হবে।

সিলেট ইঞ্চিনিয়ারিং কলেজ সূত্র জানায়, এখন শুধু কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪টি ব্যাচে ৬০ জন করে শিক্ষার্থী অধয়নরত রয়েছেন।

২০০৫ সালে ৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর টিলাগড় থেকে ২ কিলোমিটার উত্তরে সবুজ পাহাড় টিলা ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে পৃথক ২টি ব্যাচে ৬০ জন ছাত্র ভর্তি হলেও ৬৭ জন শিক্ষকের জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি একজনও। শুরু থেকে শাবিপ্রবি ও বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ধার করা অতিথি শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।