জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ বরণে পুরান ঢাকার সর্বসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে এ অঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে বর্ণিল মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।
সোমবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে যাত্রা করে পুরান ঢাকার নর্থব্রুক হল রোড, বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর রোড, বাবু বাজার, তাঁতী বাজার রায়সাহেব বাজার মোড়, জনসন রোড, লক্ষ্মীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন-শ্রেণী পেশার মানুষ রং-বেরঙের মুখোশ, ঢাক-ঢোল, বাঁশি সহ বাঙালি ঐতিহ্যের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নেচে-গেয়ে বর্ষবরণ উদযাপন করে।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধে ভাস্কর্যের সামনে লাঠি খেলার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, উদীচী, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, ডিবেটিং সোসাইটি, ফিল্ম সোসাইটিসহ অন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আবৃত্তি, গান, নাটক, নৃত্য, প্রীতি বিতর্ক পরিবেশিত হয়। এরপর আমন্ত্রিত শিল্পীদের দিনব্যাপী পালাগান ও লোক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি নববর্ষ উপলক্ষে নানা রকমের পিঠা-পুলি, ইলিশ পান্তা সহ পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সমৃদ্ধ খাবার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) পসরা সাজিয়ে বসেছেন আয়োজকরা।
প্রধান ফটকের সামনে আয়োজন করা হয়েছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীক মেলার।
এমন আয়োজন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পুরান ঢাকা শুধু বাংলারই নয়, বরং উপমহাদেশের
ইতিহাস-ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একসময় রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র ছিল পুরান ঢাকা। কিন্তু কালক্রমে এখানকার উৎসবগুলো নতুন ঢাকামুখী হয়ে পড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি পুরান ঢাকার উৎসবপ্রবণ মানুষদের সহযোগিতায় সে ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৪