জবি: দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে কথা বলায় অবরুদ্ধ হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলাম। পরে অবশ্য মুক্ত হয়েছেন।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে পুরান ঢাকার রায় সাহেব বাজারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্কা-২ বাসে ওঠাকে কেন্দ্র করে জুনিয়র ও সিনিয়র দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাক বিতণ্ড ও হাতাহাতি হয়। জুনিয়র শিক্ষার্থীর নাম মুনির ও সিনিয়র শিক্ষার্থীর নাম রাজু।
সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার ছাত্রলীগ কর্মী শাকিল ঘটনার সমাধান করতে মুনিরকে মারধর করেন।
পরে মুনির বন্ধু-বান্ধব নিয়ে রাজুকে মারধর শুরু করে। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ও ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাসির উদ্দীন এসে সিনিয়র রাজুকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এই ঘটনা মুল নায়ক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হারুন-উর-রশীদের অনুসারী সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর রহমান খান ও জহির রায়হান আগুনের বিচার করতে চান।
এ ঘটনায় শতাধিক নেতা-কর্মী ছাত্রলীগের সভাপতি এফ এম শরীফুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রুপিংয়ের কারণে দুই নেতাকে দোষারোপ করছেন।
পরে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের হস্তক্ষেপে সভাপতি মুক্ত হন।
এ প্রসঙ্গে জবি শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো গ্রুপ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৪