ঢাকা: বাংলাদেশের দরিদ্রতম অঞ্চলের এক লাখ ৩০ হাজার শিশুর স্কুলে পড়াশোনার সুবিধার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে ২৬ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য প্রদান করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা সম্প্রতি গাইবান্ধার হাসিলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সফরকালে অনুদানের ঘোষণাটি দেন।
এই অনুদানটি ম্যাকগভার্ন-ডোল আন্তর্জাতিক শিশুপুষ্টি ও শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচির একটি অংশ। ম্যাকগভার্ণ-ডোল কর্মসূচি ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৩৭টি দেশের প্রায় দুই কোটি আশি লাখ শিশু এই কর্মসূচির সুবিধা পেয়েছে।
স্কুলে ক্রিসটা রাডার বলেন, `২০০১ সালে বাংলাদেশে স্কুল খাদ্য কর্মসূচির শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয় একটি নির্ভরযোগ্য সহযোগী এবং দাতা হিসেবে সঙ্গে রয়েছে। এই সহযোগিতার জন্য তাদের ধন্যবাদ। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি শুধুমাত্র বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশুকে কেবল স্কুলে যেতেই সাহায্য করেনি বরং জাতীয় স্কুল খাদ্য কর্মসূচির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের সামর্থ্য বৃদ্ধিতেও সহযোগিতা করেছে। বর্তমানে সরকার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির চেয়ে দ্বিগুণ শিশুদের নিকট এই সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয় এই সাফল্য গাঁথায় গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ’
বাংলাদেশব্যাপী বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ১০ লাখ শিশুকে প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদানে সহায়তা প্রদান করে এবং বাংলাদেশ সরকার আঠারো লাখ শিশুর কাছে এই সহায়তা পৌঁছে দেয় ।
স্কুলে পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ শিশুদের ক্লাসে আসতে উৎসাহ যোগায় এবং পিতামাতাদেরও সাহায্য করার মাধ্যমে ক্লাসে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি করে। এই ধরনের খাবার শিশুদের স্বল্প-ক্ষুধা নিবারণের মাধ্যমে তাদের অনুশীলনে মনোযোগী হতে সাহায্য করে। উপরিউক্ত বিষয়টি তাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে হয়তো অনুপস্থিত অপরিহার্য ভিটামিন ও খনিজ প্রদানে সাহায্য করে থাকে।
২০০১ সাল থেকে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের স্কুল খাদ্য কর্মসূচিতে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ ৭ কোটি ৮লাখ ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৪