রাবি(রাজশাহী): কালবৈশাখীর তাণ্ডবের পর দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকায় সামাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
বিদ্যুৎ না থাকায় ক্যাম্পাসে দেখা দিয়েছে পানি ও খাবার সংকট। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যায় প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়।
ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে ক্যাম্পাসের গাছপালা। ঝড়ের কবলে ক্যাম্পাসের প্রায় ১৮টি বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙে গেছে। তার ছিঁড়ে পড়ে আছে বিভিন্ন স্থানে। ঝড়ের পর থেকে শনিবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ বিছিন্ন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানান, টানা দুই রাত বিদ্যুৎ না থাকায় ঘুটঘুটে অন্ধকারে ছেয়ে যায় ক্যাম্পাস। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের। বিদ্যুৎ না থাকায় ক্যাম্পাসে দেখা দিয়েছে পানি ও খাবার সংকট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাবিনা পুথি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের হলের বেশিরভাগ ছাত্রী রুমে রান্না করেন। বিদ্যুৎ না থাকায় রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। কম ছাত্রী ডাইনিংয়ে খাওয়ায় সেখানে রান্নার উপকরণ কম থাকে। এখন সব ছাত্রী সেখানে যাওয়ায় খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। বাইরের হোটেলগুলোতেও ঠিকমতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। ’
শের-ই-বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হাসান আদিব বলেন, ‘ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ না থাকায় রাত থেকেই পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরে থেকে পানি সরবারহ করা হলেও তা পর্যাপ্ত না। ’ এছাড়া রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় খুব ভোগান্তি হচ্ছে। শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
রাবির ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ছাদেকুল আরেফিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঝড়ের পরদিন সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছে। দ্রুত বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য অতিরিক্তি লোক নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু অনেক খুঁটি ভেঙে থাকায় দেরি হচ্ছে। আশা করছি, রোববার দুপুরের মধ্যে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা মে ০৩, ২০১৪