ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পথশিশুদের পাশে রাবি শিক্ষার্থীরা

রফিকুল ইসলাম, রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৪
পথশিশুদের পাশে রাবি শিক্ষার্থীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাবি: পাঁচ বছর বয়সী হাসনা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার বস্তিতে থাকে।

তার মা অন্যের বাসায় কাজ করেন। বাবা পরিবার ছেড়ে চলে গেছেন। নানী ভিক্ষাবৃত্তি করেন। বই-খাতা নিয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে হাসনা। কিছুটা আদর পেয়ে অনুসন্ধিৎসু হয়ে উঠলো যেন সুবিধাবঞ্চিত হয়ে বেড়ে ওঠা শিশুটির মন।

শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে হাসনার মতো বেশকিছু পথশিশুর পাশে দাঁড়িয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন উদ্যমী তরুণ।

রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর গ্যালারিতে এসব পথশিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয় শিক্ষা উপকরণ।

শিক্ষা উপকরণ দেওয়ার পাশাপাশি এসব পথশিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি সংগঠনের ব্যানারে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।

পথশিশুদের ডেকে এনে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিতভাবে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ‘ইচ্ছে’ নামে সংগঠনটি। অন্যদিকে পথশিশুসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কাজ করছে ‘নবজাগরণ’ নামে আরেকটি সংগঠনটি।

‘ইচ্ছে’র অন্যতম সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শান্তা সূত্রধর বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছি। কিন্তু আমাদের আশেপাশে অনেক পথশিশু আছে যারা শিক্ষার ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত। তাই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এসব পথশিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা নিজেদের টাকায় শিক্ষা কার্যক্রমের খরচ ও শিশুদের নাস্তার ব্যয় বহন করি। ’

‘নবজাগরণে’র সভাপতি আহম্মেদ সজীব বলেন, ‘পথশিশুরা সমাজের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত শ্রেণি। তাদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার তাড়না থেকে আমরা শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করছি। আমরা সামনে আরো বিভিন্ন উদ্যোগ নেবো। ’

রোববার বিকেলে নগজাগরণ সংগঠনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পথশিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।

শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাবির ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ছাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সবার মাঝে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অনাথ ও ছিন্নমূল শিশুদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।