কক্সবাজার থেকে: অষ্টম শ্রেণিতে বাংলার ক্লাস নিচ্ছিলেন অর্পিতা সেন। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অনুমতি নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে প্রশ্ন করলেন, ‘তোমরা আমাকে চেন? উত্তর- ‘চিনি, আপনি শিক্ষামন্ত্রী।
তারপর নুরুল ইসলাম নাহিদ বসে পড়লেন শিক্ষার্থীদের ছোট্ট বেঞ্চে, শুনলেন তাদের কথা।
কক্সবাজার রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে দুপুরে আকস্মিক পরিদর্শনে এসে বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদেরও।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের কনটেন্ট তৈরি করে দেশসেরা হওয়া শিক্ষকদের তিনদিনব্যাপী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যান নাহিদ।
খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনে হার্ডবোর্ড দিয়ে পার্টিশন করা একটি কক্ষে গিয়ে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাস নেওয়ার সময় তাদের সঙ্গেই বসে পড়েন বেঞ্চে।
ক্লাস ঠিকমত হয় কি-না, শিক্ষকরা কেমন পড়ান-এমন নানা প্রশ্ন করেন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষামন্ত্রীকে নিজের বসার বেঞ্চে পেয়ে উদ্বেলিত শিক্ষার্থীরাও।
এই শ্রেণির কিশোর শর্মা পরে বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর আগমনে আমরা ধন্য।
শিক্ষামন্ত্রী আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষার কথা বলেন শিক্ষার্থীদের। এজন্য ল্যাপটপ, মডেম, প্রজেক্টর দিয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করে দেওয়া হবে বলে জানান কিশোর শর্মা।
সহকারী শিক্ষক অর্পিতা সেন বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষার্থীদের পাসে বসায় তাদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে।
কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে গিয়েই নাহিদ ছাত্রীদের বেঞ্চে বসে জানতে চান তাদের সমস্যার কথা।
প্রথমে শিক্ষকদের সামনে কোনো ছাত্রী কথা না বলায় শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষের বাইরে যেতে বলেন মন্ত্রী।
এখন নির্ভয়ে কথা বলো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না।
মন্ত্রীর এমন আশ্বাসে এক ছাত্রী বলেন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস আরো বেশি করতে চাই। আরেক ছাত্রী জানান বিজ্ঞানের ব্যবহারিক কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে না।
মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন।
রুহুল আমীনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিক্ষক সম্মেলনের কর্মসূচির মধ্যে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত ‘একুশ শতকের শিক্ষক: দক্ষতা ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা করেন মন্ত্রী।
** মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষেই আগ্রহ
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৪