ঢাকা: নানা প্রতিকূলতার মাঝেও দাখিল পরীক্ষায় অনেকটা ভাল করেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিবপুর দাখিল মাদ্রাসা। চলতি বছরের ফলাফলে দেখা যায়, সাধারণ বিভাগ থেকে ৩৪জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩১ জন।
শনিবার দুপুরে মাদ্রাসাটির সুপার মাওলানা আবু লাইস এসব তথ্য জানান।
দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত না হওয়ার পরও শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই ভাল ফল বলে মনে করেন তিনি।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিনাবেতনে শিক্ষকরা শিক্ষাদান করে আসছেন। আশা একসময় তো এমপিওভুক্ত হবে। মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্তির জন্য ওই সময়ের স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় শিক্ষামন্ত্রীকে আধা সরকারি পত্র(ডিও লেটার)দিয়েছিলেন। সুপারিশ করেন ওই সময়ের পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ারভাইস মার্শাল(অব.) একে খন্দকার। মহাজোট সরকারের সময় এমপিওভুক্তির ১ম তালিকায় আমাদের নাম ছিল।
সে হিসেবে আনন্দ উদ্দীপনায় শিক্ষকরা বিধি মোতাবেক ব্যাংক একাউন্ট খোলাসহ সার্বিক কার্যাদি সম্পন্ন করেন। কিন্তু পরের তালিকায় আমাদের মাদ্রাসার নাম বাদ দেওয়া হয়। শিক্ষক-কর্মচারীরাসহ শিক্ষার্থীরাও হতাশ হয়ে পড়েন। তারপরও তারা নিবিড়ভাবে পাঠদান করে যাচ্ছেন।
আর মাদ্রাসাটিকে দ্রুত কম সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্তির জন্য বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সৃদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি উল্লেখ করে এমপিওভূক্তির পাশাপাশি একাডেমিক ভবন দরকারও বলে জানান তিনি।
মাদ্রাসাটির সহ সুপার কাজী ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সবাই জড়িত। তাই বেতন না পেয়েও নানা অভাব অনটনের মধ্যেও সবাই নিয়মিত ক্লাস নেন। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বুঝতেও দেন না তাদের ভেতরে জমে থাকা বেদনা। এমপিওভুক্তি হলে শিক্ষকেরা আরও বেশি মনোযোগী হবেন। প্রতিষ্ঠানটি হয়ে উঠবে জেলার মধ্যে অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান।
চলতি বছরের জেডিসি ও এবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় মাদ্রাসার ভাল ফলের বিবরণও তুলে ধরেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৪দলীয় সরকারের আমল থেকেই এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করে আসলেও ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি এখনও তা পায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪