সিলেট: পিছিয়ে গেলো সিলেট সরকারি পাইলট স্কুল। নিজেদের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে পারেনি ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে, আগের অবস্থান ধরে রেখে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়েছে সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সিলেট শিক্ষাবোর্ডে গত বছরের মতো এবারও ষষ্ঠ অবস্থান ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাঙ্গন।
সরকারি পাইলট স্কুল এবার সিলেট শিক্ষাবোর্ডে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী ৪র্থ স্থানে রয়েছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ১৮৯ জন পরিক্ষার্থী এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে একজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হন। পাশের হার ৮১ দশমিক ৪৬।
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৬ জন।
এবার বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৯জন, পাশের হার ৮২ দশমিক ২১।
সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হাশেম বাংলানিউজকে জানান- গত বছর এই বিদ্যালয় থেকে ২৫৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সকলেই পাশ করে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১৪৯ জন।
নিজেরদের সেরা অবস্থান ধরে রাখতে না পারার ব্যাপারে তিনি বলেন- এবার পরীক্ষার্থীও কমেছে। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের একজন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। যে কারণে পরিসংখ্যানে আমাদের বিদ্যালয় পিছিয়ে পড়ে।
অবস্থান ধরে রাখলো সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় : আগের অবস্থান ধরে রেখে জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়েছে সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। সিলেট শিক্ষাবোর্ডে গত বছরের ন্যায় এবারও ষষ্ঠ অবস্থান ধরে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাঙ্গন। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে সাফল্যে আগুয়ান রয়েছে অগ্রগামী।
এবার ২৩৩ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নিয়ে সকলে উত্তীর্ণ হয়। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৫ জন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১১৮ জন, ব্যবসায় ৬ জন ও মানবিক বিভাগে ১ জন জিপিএ-৫ অর্জন করে।
সিলেট অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বাবলী পুরকায়স্থ বাংলানিউজকে জানান- গতবারও আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাশের হার ছিল শতভাগ। এবারও তাই। গত বছর ২৪০ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই পাশ করে এবং জিপিএ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ১০৫টি।
তবে বোর্ডের হিসাবে ষষ্ঠস্থান থেকে উন্নীত না হতে পারার পেছনে ছাত্রীদের দেশের বাইরে চলে যাওয়াকে দায়ি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘন্টা, মে ১৭,২০১৪