ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাংলানিউজকে ভিকারুন নিসার অধ্যক্ষ

নিয়ম ও ধারাবাহিকতা ভালো ফল দেয়

সাজেদা সুইটি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪
নিয়ম ও ধারাবাহিকতা ভালো ফল দেয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক- এই তিনের সম্মিলিত প্রয়াসই ভালো ফলের জন্য জরুরি। তবু যারা নিয়ম মেনে ধারাবাহিকভাবে এগোয়, তারাই সেরাদের সেরা হয়’।


 
কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুন নিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম।
 
শনিবার দুপুরে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণার পর বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
 
মঞ্জু বলেন, আমার সব ছাত্রীই ভালো করেছে। তবে বরাবরই দেখি, যারা সারা বছর নিয়ম মেনে চলে ও পড়ালেখায় ধারাবাহিকতা বজায় রাখে, তারাই বেশি ভালো করে। এজন্য এ বিষয়টিতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
 
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীকে নিজের মতো করে চেষ্টা করতে হবে। তার অভিভাবক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেই শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেবে। এই তিনের যোগফলেই একটা ভালো ফল আসে। তাই কোনোটির গুরুত্ব কম নয়।
 
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এবার সেরাদের তালিকায় তৃতীয় স্থান পেল। এবারও স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
 
স্কুলটির বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এক হাজার ১৩০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পায় এক হাজার ১২৪ জন। মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ২২ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৪৪ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯৫ জন।
 
দুপুর একটার দিকে ফলাফল স্কুলে পৌঁছায়। এর কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম। তিনি মাঠে এসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রতি ধন্যবাদ জানান। এ সময় সবাই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
 
নিজ প্রতিষ্ঠানের সুনাম প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে মঞ্জু আরা বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সুনামের পেছনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মচারী থেকে শুরু করে অভিভাবক- সবারই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
 
শনিবার প্রকাশিত এবারের এসএসসি ফল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় আমরা একধাপ পিছিয়ে গেছি- এটা সত্য। তবে আমাদের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।
 
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি শিক্ষার ওপর প্রভাব ফেলছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের যোগ্য করে তুলতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে দেশের কাজে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা যায়। লক্ষ্য ঠিক রেখে এগোলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীই দেশের সম্পদে পরিণত হবে।
 
মঞ্জু আরা আরও বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর সম্পর্কগুলো যতো বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতার হবে, ততোই তাদের বিকাশ ও পরীক্ষার ফলাফল ভালো হবে।
 
শুধু তাই নয়, সবাইকে নিজের আগ্রহের দিকগুলোতে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে বলেও মনে করেন এই শিক্ষক।
 
শনিবার সকালে দেশব্যাপী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়, গড় পাসের হার ৯১. ৩৪ শতাংশ।

এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৩.৯৪ শতাংশ, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯১.৪০ শতাংশ, সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.২৩ শতাংশ, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৬৬ শতাংশ, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.৯২ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে পাসের হার ৯৩.২৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে পাসের হার ৯২.১৯ শতাংশ এবং রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৯৬.৩৪ শতাংশ।

এছাড়া কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮১.৯৭ শতাংশ, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৯.২৫ শতাংশ এবং ডিআইবিএস-এ পাসের হার ৯২.৬৭ শতাংশ।

পরীক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।