চাঁদপুর: শঙ্কার মধ্যেও ব্যাংকার হতে চায় চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া গ্রামের শেখ বাড়ির মো. শরিফুল ইসলাম।
সে এ বছর স্থানীয় চান্দ্রা বাজার ইয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বানিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
অতি আত্মবিশ্বাসী হওয়ায় ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছে সে। আর এ আত্মবিশ্বাসের জোরেই ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন শরিফুলের। তবুও ভয়-শঙ্কা পাড়ি দেওয়া যাবে কী এ বন্ধুর পথ? পূর্ণ হবে কী ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন?
জানা যায়, শরীফুলের ৪ ভাই ৩ বোন। শরিফুল সবার ছোট। বোনদের বিয়ে হয়েছে। বড় দুই ভাই মিজানুর রহমান ও মফিজুল ইসলাম চাকরি করেন মাদ্রসায়। বড় দুই ভাইয়ের স্ত্রী, দুইজন করে ৪জন সন্তান রয়েছে।
আরেক ভাই দ্বিন ইসলাম ঘুরছেন বিদেশ পাড়ি দিতে। ভিসা হচ্ছে এ খবরে বেকার ঘুরছেন তিনি। বড় দুই ভাইয়ের চাকরির সমান্য অর্থ দিয়ে চলছে তাদের সংসার।
একান্নবর্তী পরিবার শরিফুলের। বাবা মো. আবুল খায়ের (৭০) প্যারালাইসিস রোগী। এ অবস্থায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন কাজ । যেখানে দু বেলা খাওয়া পাওয়াই ভাগ্যের বিষয়, সেখানে পড়ালেখা করে আর কত দূর যাওয়া যাবে।
এমন দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস-ই বড় হওয়ার স্বপ্ন শরিফুলের।
শরিফুল বাংলানিউজকে জানায়, ৩টি টিউশনি করে তার পকেট খরচ আর পড়ালেখার খরচ জোগাড় করছে সে।
সে বলে, এখন কলেজ ভর্তির টাকা নিয়েই চিন্তা আছি। ছোট বেলা থেকেই ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। তাই বানিজ্য শাখায় পড়াশুনা করছি। আত্মবিশ্বাস আছে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে পারবো।
তবে সহযোগিতা পেলে লক্ষ্যে পৌঁছতে সহজ হবে বলে শরীফুল জানায়্।
শরিফুলের বৃদ্ধা মা খাদিজা বেগম জানান, পোলা এ পেলাস পাইছে। ভালো ফল করছে।
চান্দ্রা বাজার ইয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির জানান, আমরা যখন জেনেছি সে হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে। তখন থেকেই তাকে বিনা বিতনে পড়ালেখার সুযোগ করে দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৪