ঢাকা: বহু বছরের পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বিজ্ঞান ভবনে এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিজ্ঞান অনুষদের প্রায় পাঁচ শতাধিকেরও বেশি শিক্ষার্থী।
ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটি থেকে প্রতিদিনই একটু একটু করে খসে পড়ছে ছাদের প্লাস্টার।
এছাড়া ভবনের চার তলায় অবস্থিত প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ল্যাবরোটরির প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের রাসায়নিক দ্রব্য ও যন্ত্রপাতিও ভবনের এই করুণ দশায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সোমবারই ঘটে একটি ছোট ধরনের দুর্ঘটনা। এ বিজ্ঞান ভবনের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের কক্ষের ছাদ থেকে প্রায় ২০ কেজি ওজনের বিম ধসে চেয়ারম্যানের টেবিলের ওপর পড়ে। এতে টেবিলের ওপর থাকা কাঁচসহ টেবিলে থাকা বিভিন্ন দ্রব্য ভেঙ্গে যায়।
এ রকম পরিস্থিতি এর আগেও ঘটেছে। আর এর প্রতিকার চেয়ে বছরখানেক ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পাঁচবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া মিলেনি।
জানা গেছে, গত বছর (২০১৩) রানা প্লাজা ধসের পর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে উদ্যোগ নেয়। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বিজ্ঞান বিভাগও ছিলো। সে সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য ও পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুনায়েজ আহমেদ নুরকে প্রধান করে একটি বিশেষজ্ঞ দলও গঠন করা হয়।
বিশেষজ্ঞ দলের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিজ্ঞান ভবনের ছাদ সংস্কারের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে দশ লাখ টাকার বাজেটও বরাদ্দ আনে।
এই সংস্কার কাজের টেন্ডারটি জবি ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান 'এফ এম এন্টারপ্রাইজ' পেলেও এখনও ছাদ সংস্কারের কাজই শুরু করেনি তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভবনটির সংস্কার কাজের জন্য টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করা যায় কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৪