ঢাকা: চূড়ান্ত ফল প্রকাশের ছয় মাস অতিবাহিত হলেও নিয়োগ পাননি ৩৩তম বিসিএস ক্যাডারের উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিনেও নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মাঝে।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, তারা সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন, বাকি কাজ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের।
গত বছরের ২১ নভেম্বর ৩৩তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়, যাতে আট হাজার ৫২৯ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। পরবর্তীতে আরো ১৩০ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে কমিশন।
এর আগে চার হাজার ২০৬টি শূন্য পদে নিয়োগ দিতে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ৩৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি।
২০১২ সালের ১ জুন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষে ২৮ জুন তার ফল প্রকাশিত হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ২৮ হাজার ৯১৭ জন। এ পরীক্ষায় এক লাখ ৯৩ হাজার ৫৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এরপর একই বছরের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৮ হাজার ৬৯৩ জন প্রার্থী। গত বছরের মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন তারা।
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের নিয়োগ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যাডার পদের চাকরিপ্রার্থীরা।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে যথাযথ এজেন্সির মাধ্যমে প্রাক নিয়োগ জীবন বৃত্তান্ত যাচাইয়ের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রার্থীদের নিয়োগ দেবে বলে জানায় পিএসসি।
এ বছরের জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জীবন বৃত্তান্ত যাচাইও শেষ হয়েছে।
চূড়ান্ত ফল প্রকাশের সময় পিএসসি জানিয়েছিল, পদ স্বল্পতার কারণে উত্তীর্ণ যেসব প্রার্থীকে বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা সম্ভব হয়নি, তাদেরকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হবে। এমন ৪৩ জনকে নন-ক্যাডার পদে ইতোমধ্যে নিয়োগও দেওয়া হয়েছে।
ক্যাডার পদের প্রার্থীরা বলছেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত না হওয়ায় তারা এখনো বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। একটি বিসিএসের জন্য আড়াই বছর অপেক্ষা করলে সরকারি চাকরির প্রতি অনীহা তৈরি হচ্ছে।
এদিকে ইতোমধ্যে গত ২১ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন।
৩৩তম বিসিএসের নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা ক্যাডার পদের একজন প্রার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ২৮, ২৯ ও ৩১তম বিসিএসে ছয় মাস এবং ৩০তম বিসিএসে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের সাত মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। আর স্পেশাল হওয়ার পরও ৩২তম বিসিএসেরও নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে নয় মাসে।
কিন্তু সাধারণ বিসিএস ৩৩তমতে ছয় মাস অতিবাহিত হলো, যা বিলম্ব বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে পিএসসসির চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ বুধবার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করেছি। বাকি কাজ করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়গুলো তৎপর হলেই দ্রুত নিয়োগ সম্ভব হবে বলে মনে করেন পিএসসি চেয়ারম্যান।
** ৩৩তম বিসিএসের ফল: ৮৫২৯ জনকে নিয়োগের সুপারিশ
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৪