ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৫০ বছর পূর্ণ করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউলেসা) উদ্যোগে এসব আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার সকালে ৫০টি বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবং বৃক্ষরোপণ করে উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির সুবর্ণজয়ন্তী লোগো উন্মোচন এবং একটি ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল একসময় রাজধানীর অন্যতম সেরা স্কুল ছিল। এ স্কুল থেকে বহু
খ্যাতনামা ব্যক্তি পাশ করে বেড়িয়েছেন যারা পরবর্তীতে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ স্কুলের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত স্কুলটিও যে শ্রেষ্ঠ স্কুল হবে সেটাই স্বাভাবিক। এ স্কুলটিকে রাজধানীর সেরা স্কুল হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ এখনো রয়েছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান ঢাবি উপাচার্য।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যখন আর্ট কলেজের (বর্তমানে ঢাবির চারুকলা অনুষদ) ছাত্র ছিলাম তখন এ স্কুলটি
রাজধানীর শ্রেষ্ঠ স্কুল ছিল। এ স্কুলের নাম শুনলে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভয় পেত। কারণ এখানে সব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতো এবং সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা ছড়িয়ে পড়ে।
স্কুলের অতীত গৌরবের কথা উল্লেখ করে প্রখ্যাত এ চিত্রশিল্পী বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে।
স্কুলের উপাধ্যক্ষ সেলিনা বানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট পরিচালক প্রফেসর জালাল উদ্দীন এবং ইউলেসার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান লিটু এবং অনুষ্ঠান আয়োজন উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাসের ইকবাল যাদু প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এদিকে নিজেদের স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়েছেন স্কুল প্রাঙ্গনের মিলনমেলায়। পুরানো বন্ধু-
সহপাঠীদের পেয়ে অনেকেই হাজারো সাংসারিক টানাপোড়েন ভুলে মেতে উঠেছেন হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর সেই উচ্ছ্বল ও প্রাণবন্ত আড্ডায়।
কেউ-কেউ আবার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে রোমান্থন করছেন স্কুল অথবা কলেজ জীবনে ফেলে যাওয়া হাজারো স্মৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪