ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার মৌলিক অধিকার স্বীকৃতির পাশাপাশি বাজেট বাড়ানো জরুরি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪
শিক্ষার মৌলিক অধিকার স্বীকৃতির পাশাপাশি বাজেট বাড়ানো জরুরি

ঢাকা: শিক্ষার মৌলিক অধিকার স্বীকৃতির পাশাপাশি বাজেট বাড়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আর সি মজুমদার মিলনায়তনে ‘জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ভাবনা ও বিকল্প শিক্ষা বাজেট প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।



বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের আয়োজনে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাসান তারেক।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, কোনো কারণে যদি কেউ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হন তাহলে ওই বঞ্চিত ব্যক্তি যেন কোর্টে গিয়ে মামলা করেতে পারেন সেই সুযোগ করে দিতে হবে। ওই ব্যক্তি যেন ক্ষতিপূরুণ দাবি করতে পারেন এই নীতিতে চলে আসতে হবে। মোট কথা শিক্ষার মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিতে হবে।
 
সেলিম বলেন, শিক্ষা বিষয়টিকে আমরা কোন দৃষ্টিতে দেখবো এটা মূল বিষয়। পণ্য হিসেবে  দেখবো না সামাজিক দায় হিসেবে। মৌলিকভাবে মূল ভাবনা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মোহাম্মদ বলেন, অবকাঠামোর অব্যবস্থাপনা, নিয়োগ বাণিজ্য, সঠিক পরিকল্পনার অভাবে, শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তার গুণগত ব্যয় হচ্ছে না। বর্তমানে শিক্ষাখাত এতগুলো সমস্যা নিয়ে জর্জরিত।
 
তিনি বলেন, যদি নিয়োগ বাণিজ্যের মধ্য দিয়ে কোনো শিক্ষক নিয়োগ পান তাহলে তিনি কী শিক্ষা দেবেন?

প্রাথমিক শিক্ষাখাতে শিশু শিক্ষার্থীরা কেন ঝরে পড়ছে তা খুঁজে বের করার আহ্বান জানান আনু মুহাম্মদ।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে অনেক বেশি সাফল্য থাকলেও, এর পাশাপাশি অনেক সমস্যাও রয়েছে। মূল সমস্যা হলো গুণগত মান। আরেকটি সমস্যা হলো বৈষম্য।
 
তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীরা ‍মুনাফালোভী দৃষ্টিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি পরিচালনা করছেন। এদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে।
 
সেমিনারে ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, শিক্ষা ব্যয়ে অনেকটা শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে।

এ সময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কারিগরি বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব বিদ্যালয়ে সামরিক বাহিনীর সন্তানদের ব্যয় কম, সাধারণ মানুষদের ব্যয় বেশি। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষের ব্যয় কমছে আবার অন্য শ্রেণির মানুষের ব্যয় বেশি হচ্ছে।
 
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা রাজেকুজ্জামান রতন। সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এস এম শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি জনার্দন দত্ত নান্টু, ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি আবু তারেক সোহেল, জাহিদুল ইসলাম সজীব, দফতর সম্পাদক আল আমিন প্রমুখ।  
 
ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লাকী আক্তারের সঞ্চলনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহ সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী। এ সময় তিনি বাজেটে শিক্ষার মান উন্নয়নে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।