ঢাকা: আবারো এইচএসসি পরীক্ষার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। রোববার গণিত (তত্ত্বীয়) প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষার আগে হাতে লেখা ও কম্পোজ করা এক ধরনের প্রশ্ন ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আর ই-মেইলসহ ফেসবুকের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে যায়।
এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কিছু শিক্ষার্থী শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন করে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রতিবাদ জানান। রোববার গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদও প্রকাশিত হয়।
বুয়েটের একজন শিক্ষার্থী রোববার বাংলানিউজকে জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের ৭৫ নম্বরের মধ্যে ৭২ নম্বর মিলে গেছে।
প্রশ্নবাজার নামের ফেসবুক পেজে https://www.facebook.com/pages/প্রশ্ন-বাজার/593333510752460?fref=photo&sk=photos_stream এসব প্রশ্ন পাওয়া যায়।
https://www.facebook.com/593333510752460/photos/pb.593333510752460.-2207520000.1401024152./625730237512787/?type=3&theater এই লিঙ্কে একটি নমুনা প্রশ্ন পাওয়া যায়।
এই পেজটিতে বিভিন্ন সাজেশন, বিভিন্ন প্রশ্নপত্রের সমাধানও দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রোববার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এস ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
পরীক্ষার আগের দিন শিক্ষামন্ত্রী একটি প্রশ্ন তাকে দিয়েছিলেন জানিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, সেটার সঙ্গে আজকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে মিল পাওয়া যায়নি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে শিক্ষামন্ত্রী একই দিন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের প্রশ্নফাঁস নিয়ে তিনটি লেখার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
গত মাসে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় এখনো তদন্ত চলছে৷ এছাড়াও বোর্ড কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।
এর আগেও বেশ কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। বুয়েটের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ফেসবুকে প্রশ্নের ছবি আপলোড করা হয়েছিল। তবে বাকিগুলোর বিষয়ে আর স্বীকার করেনি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৪