বাকৃবি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) তিন দফা দাবিতে পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জোট পেশাজীবী ঐক্য পরিষদ।
কর্মবিরতির ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি ও শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধি করে ৬২ করা, এককালীন পেনশন ভাতা প্রদান এবং নিরাপত্তাকর্মীদের স্ব স্ব পদমর্যাদা অনুযায়ী বিভিন্ন পেশাজীবী পরিষদে অন্তর্ভূক্ত করার দাবিতে সোমবার থেকে তিন দিনব্যাপী অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু করে পেশাজীবী ঐক্য পরিষদ।
এ সম্পর্কে পেশাজীবী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স পরিষদের সহ-সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বলেন, রোববার আমাদের দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং চাকরিচ্যুতির হুমকি দেন। তার অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে ও দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতির মত কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার (সংস্থাপন শাখা) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স পরিষদের সভাপতি মো. অলিউল্লাহ বলেন, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬০ বছর অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের জুন মাসে প্রায় ১০০টির অধিক পদ শুন্য হবে। এসব পদে নিয়োগ বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে আমাদের চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে না।
তবে পেশাজীবীদের এ আন্দোলন অযৌক্তিক দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, অশুভ একটি মহলের প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এ আন্দোলন চলছে।
কর্মচারী নিয়োগ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, এটি চলমান প্রক্রিয়া। পর্যাপ্ত কর্মচারী থাকায় এ মুহূর্তে কোনো নিয়োগ দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৪