বরিশাল: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেওয়া ১৩ দফা দাবি মেনে নিতে উপাচার্যের লিখিত আশ্বাসে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
প্রায় ১৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বুধবার রাত ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে লিখিত দেওয়ার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফিউল আলম বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে জানান, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন এবং দাবিগুলো বাস্তবায়নে লিখিত আশ্বাসও দিয়েছেন।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টায় তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে ১৩ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে।
লিখিত আশ্বাসগুলো হলো: চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে অস্থায়ী ক্যাম্পাসের বর্তমান বিভাগসমূহের মধ্যে থেকে মার্কেটিং সহ আরো তিনটি বিভাগকে পর্যাপ্ত কক্ষ সুবিধাসহ মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হবে। ২০১৫ সালের ৩০ জুনের ১৬টি বিভাগের প্রতিটির জন্য পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, বিভাগের নিজস্ব সেমিনার, লাইব্রেরি ও ল্যাব নিশ্চিত করা হবে। প্রতি বিভাগের বিভাগ উন্নয়ন ও সেমিনার সিম্পোজিয়াম খাতে গৃহীত যে অর্থ কেন্দ্রীয় তহবিলে স্থানান্তর করা হয়েছে তা বিভাগ চাইলে ফেরত দেওয়া হবে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে যাত্রী ছাউনীর নির্মাণও সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হল ও অন্তত একটি ছাত্র হল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে। শিক্ষার্থীদের থেকে বিভিন্ন খাতে ফি বাবদ গৃহীত অর্থ সংশ্লিষ্ট খাতে ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। বিভাগের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি খাতের বরাদ্দ আলাদা এবং তা প্রাপ্তি সাপেক্ষে খাতওয়ারি প্রকাশ করা হবে। প্রত্যেক বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় বইসমূহ শুধু সেমিনার লাইব্রেরিতে বসে পড়া যাবে ভিত্তিতে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক বিভাগের ল্যাব কক্ষ নিশ্চিত ও বিভাগের যৌক্তিক দাবি অনুযায়ী পর্যাপ্তসংখ্যক কম্পিউটার সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক বিভাগে ৩০ জুনের মধ্যে একটি করে প্রজেক্টর সরবরাহ করা হবে প্রভৃতি।
** মৌখিক নয় লিখিত সিদ্ধান্ত চান শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৪