ঢাকা: উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফলে দশটি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে আট বোর্ডে নতুন করে পাস করেছে ২৪৪ শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও বরিশাল ছাড়া বাকি আট বোর্ডের পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেয়া ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটেও ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
আট বোর্ডের প্রকাশিত ফলে ৮৫৯ জনের ফল পরিবর্তিত হয়েছে। নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৮ জন শিক্ষার্থী।
সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং সচিব রাতে বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ৪৪০ জনের ফল পরিবর্তিত হয়েছে, যাদের মধ্যে ফেল থেকে পাস করেছে ৯০ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫ জন পরীক্ষার্থী। এই বোর্ডে ২০ হাজার ৫৭০ জন পরীক্ষার্থী ৭০ হাজার পত্র পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করেন।
চট্টগ্রাম বোর্ডে ২৪ হাজার ৮০টি আবেদনের মধ্যে ১০৪ জনের ফল পরিবর্তন, ২৪ জন নতুন করে জিপিএ-৫ এবং ৩৬ জন নতুন করে পাস করেছে।
কুমিল্লা বোর্ডে ১৭ হাজার ৩৮২টি আবেদনের মধ্যে ৮০ জনের ফল পরিবর্তন, ৩৩ জন নতুন করে পাস এবং ১৩ জন নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
২৮ হাজার ১০টি আবেদনের মধ্যে যশোর বোর্ডে ৭২ জনের ফল পরিবর্তন, ২৬জন নতুন করে পাস এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১ জন।
দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৬৬৮টি আবেদনের মধ্যে ৪৫ জনের ফল পরিবর্তন, ১৯ জন ফেল থেকে পাস এবং নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ জন পরীক্ষার্থী।
সিলেটে ৯ হাজার ৭৬০টি আবেদনে ৪২ জনের পরিবর্তন, ফেল থেকে পাস ১৯, এবং নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডে ৬ হাজার ২২টি আবেদনের মধ্যে ৭৬ জনের ফল পরিবর্তন, নতুন করে ১৯ জন জিপিএ-৫ এবং পেল থেকে পাস করেছে ১৫ জন পরীক্ষার্থী।
কারিগরি বোর্ডের অধীন ডিআইবিএস’এ ৫৬৪টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৯ জনের ফল পরিবর্তন হয় এবং ৬ জন ফেল থেকে পাস ও তিন জন নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে।
রাজশাহী বোর্ডে ২৭ হাজার ৮৮২টি, বরিশাল বোর্ডে নয় হাজার ৫৮৬টি এবং কারিগরি বোর্ডে সাত হাজার ৪০৬টি আবেদন জমা পড়লেও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলো ফল প্রকাশ করতে পারেনি।
রাজশাহী বোর্ডের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্র বা শনিবার তারা ফল প্রকাশ করতে পারবেন।
আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, যাদের ফল পরিবর্তন হয়েছে তাদের নতুন করে নম্বরপত্র সরবরাহ করা হবে।
ইতোমধ্যে অনলাইনে তাদের ফল পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানান বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
গত ১৩ আগস্ট আটটি সাধারণ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
এবার গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ হাজার ৬০২ জন।
শিক্ষার্থীরা টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ১৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্টর পর্যন্ত পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে।
পুনঃনিরীক্ষার জন্য এবার আটটি সাধারণ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডে দুই লাখ ১৫ হাজার ৩৬০টি পত্রের আবেদন জমা পড়ে।
প্রতিটি বিষয় বা পত্রের জন্য ১৫০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন পরীক্ষার্থীরা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেন।
অকৃতকার্য হওয়া, প্রত্যাশার চেয়ে কম নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীরাই এই আবেদন করেছিলেন।
বিভিন্ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, নম্বর গণনা, উত্তরপত্রের ভিতরের নম্বর কভার পেজে তুলতে ভুল হয়েছে কি না, কোন প্রশ্নে নম্বর বাদ পড়েছে কি না- তা পুনঃনিরীক্ষণে দেখা হয়।
** পুনঃনিরীক্ষণে কোটি টাকার বাণিজ্য!
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৪