ঢাকা: শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন ও স্কুলের জায়গা বেদখল হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। দেশব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান ও স্কুল সরেজমিনে পরিদর্শন করে ইতোমধ্যে সমস্যা চিহ্নিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব থেকে মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রোগ্রামারদের নিয়ে পরিদর্শন টিম তৈরি করে বিভাগীয় অফিস থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের অফিস ও স্কুল পরিদর্শনের দায়িত্ব দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস সোমবার বাংলানিউজকে বলেন, মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কয়েক বছর আগে একটি তালিকা হয়েছিল। কিন্তু তারা বদলি হয়ে চলে যাওয়ায় পরিদর্শন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। আবার জোরদারের কাজ শুরু হয়েছে।
সেমাবার মন্ত্রণালয়ের একটি আদেশে বলা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিশু ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিত স্কুল/অফিসে উপস্থিতিসহ শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারি/বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো নিয়মিত পরিদর্শনের কাজ করবেন তারা।
এ দিন ২৫ জনের একটি টিমও তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতজন যুগ্ম-সচিব, চারজন উপ-সচিব, তিনজন সিনিয়র সহকারী সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, দু’জন সহকারী সচিব ও দু’জন সিনিয়র সহকারী প্রধান রয়েছেন।
এছাড়াও রয়েছেন একজন করে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, প্রোগ্রামার, লাইব্রেরিয়ান ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং দু’জন সহকারী প্রোগ্রামার।
কর্মকর্তাদের প্রত্যেককে দু’টি করে জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিভাগীয় ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, পিটিআই, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, ক্লাস্টার ও অফিস, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও সমমানের অন্যান্য প্রাথমিক/এনজিও বিদ্যালয় পরিদর্শন ও সমস্যা চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিতে হবে।
এর মধ্যে অতিরিক্ত সচিব প্রতিমাসে দু’টি বিভাগীয় অফিস ও দু’টি স্কুল পরিদর্শন করবেন।
যুগ্ম-সচিবরা প্রতিমাসে নির্ধারিত জেলায় দু’টি স্কুল, একটি দপ্তর, উপ-সচিবরা দু’টি স্কুল ও একটি অফিস, সিনিয়র সহকারী সচিব ও অন্যান্য প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা প্রতিমাসে দু’টি বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।
স্কুলের সদস্য চিহ্নিত করে পরিদর্শন প্রতিবেদন সচিবের কাছে ই-মেইলে দিতে হবে কর্মকর্তাদের।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন, ঝরে পড়া, স্কুল বেদখল- প্রভৃতি বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সামষ্টিকভাবে আমরা দায়িত্ব পালন করব জানিয়ে জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, সবাইকে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি।
প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে যুক্ত করে সব বিষয়ে তদারকি বাড়ানোর জন্য আরও পরিপত্র জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৪