ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যকে দুঃখজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
একই সঙ্গে এ বিদ্যাপীঠ নিয়ে কোনো অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে সব মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাবির ভর্তি প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত ও আধুনিক করার জন্য কারো কোনো পরামর্শ থাকলে অবশ্যই ঢাবি কর্তৃপক্ষ তা সাদরে গ্রহণ করবেন। কিন্তু জাতির অহংকার শ্রেষ্ঠ এ বিদ্যাপীঠকে নিয়ে কোনো অবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে সব মহলকে অনুরোধ করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কখনোই শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা বা ফেল করাবার জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেন নি। মেধাবীদের মধ্য থেকে সেরাদের যাচাই-বাছাই করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোই এর মূল উদ্দেশ্য।
আমরা মনে করি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের গুণগত মানের প্রতিফলনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের মাধ্যমে ফুটে উঠে।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার স্বচ্ছতা দেশবাসীর সমাদৃত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যে জাতীয় জীবনের অবক্ষয় তাকে স্পর্শ করবে না। জালিয়াত চক্রের হাত থেকে ভর্তি পরীক্ষা নিরাপদ রাখার সম্ভাব্য সব উপায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে।
এবছর দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করার মাধ্যমে কোচিং সেন্টারগুলোর বাণিজ্যের সুযোগও বন্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
চলতি শিক্ষাবর্ষে ঢাবির বিভিন্ন ইউনিটে অনুত্তীর্ণের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সর্বমহলেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ঢাবির শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় ত্রুটি রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করতেই ঢাবি কর্তৃপক্ষ কঠিন প্রশ্ন করে শিক্ষার্থীদের ফেল করাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৪