ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

এমপি বাদশার বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৪
এমপি বাদশার বিরুদ্ধে মামলা ফজলে হোসেন বাদশা

রাজশাহী: শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এনে রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাসহ কলেজ পরিচালনা ও নিয়োগ কমিটির ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মহানগরীর কাজলা এলাকার অধিবাসী অর্থনীতি বিষয়ের শিক্ষক প্রার্থী মমতাজ সুলতানা ফারুকী রাজশাহী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।



বাদীর আইনজীবী একেএম আনোয়ার হোসেন চন্দন জানিয়েছেন, এতে শাহ মখদুম (রহ.) কলেজ পরিচালনা কমিটি ও নিয়োগ পরীক্ষার সভাপতি হিসেবে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান ও বিষয় বিশেষজ্ঞসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়েছে। মামলাটি গ্রহণ করা হবে কি না সে বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য বুধবার (১৫ অক্টোবর) আদালতের বিচারক সুরাইয়া শাহাব দিন ধার্য করতে পারেন বলে জানান তিনি।

বাদীপক্ষের আইনজীবী বলেন, মামলার আরজিতে প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, শাহ মখদুম কলেজে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অর্থনীতি বিষয়ে ১৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে শাহনাজ বেগম নামের একজন প্রার্থীর স্বামী আবদুর রশিদ সরকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এ নিয়োগ পরীক্ষায় বিষয় বিশেষজ্ঞও আনা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকেই। এ কারণে মামলার বাদী আশঙ্কা করেন, পরীক্ষায় পক্ষপাতের আশ্রয় নিয়ে রাবি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকের স্ত্রী শাহানাজ বেগমকেই নিয়োগ দেওয়া হবে।

একই অভিযোগের কারণে এর আগে গত বছরের ১৩ অক্টোবর পরীক্ষার দিন ধার্য থাকলেও একদিন আগেই স্থগিত করা হয়। তখন এই মামলার বাদীর বাবা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহাম্মেদ সিদ্দিকী একই অভিযোগ এনে কলেজ পরিচালনা কমিটি সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার কাছে অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে  সংসদ সদস্য ওই পরীক্ষা স্থগিত করেছিলেন। তিনি তখন মৌখিকভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন এ পরীক্ষা পরে নেওয়া হবে এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিষয় বিশেষজ্ঞ আনা হবে।

কিন্তু পরবর্তীতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা নেওয়ার সময় কাকে বিশেষজ্ঞ আনা হবে তা গোপন রাখা হয়। মৌখিক পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা দেখতে পান আবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকেই বিশেষজ্ঞ আনা হয়েছে। তার নাম কাজী জুলফিকার আলী। তিনি অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তাদের আশঙ্কা অনুযায়ী তাই এবারও পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় নেওয়া হয়।

তবে নিয়োগ কমিটি সদস্য সচিব ও শাহ মখদুম (রহ.) কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুর রহমান বলেন, আমরা এখনও কাউকে নিয়োগ দেইনি। এছাড়া সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীনভাবেই নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করা হবে। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ‘বিশেষজ্ঞ’ শিক্ষক মনোনীত করা হয়। এখানে আমাদের করার কিছু নেই। তাই মামলা হলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা হবে বলে জানান কলেজ অধ্যক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।