ঢাকা: সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ধনীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।
এনাম-আনার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় তিনি বলেন, অনেক ধনী ব্যক্তি আছেন যারা গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করেননা। অথচ ধর্মীয়ভাবেও গরিবদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর আমরা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম। এখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। শিক্ষাখাতে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা থাকার কারণে তারা প্রকৃত মেধা বিকাশ করতে পারছে। এক্ষেত্রে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীরাও অনেক এগিয়ে আছে। তারা আর্থিক সহায়তা পেলে আরও ভালো করতে পারবে।
তাই এসব শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য সমাজের ধনীদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এক সময় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে জানতে দেওয়া হতো না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন সবার মাঝে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে ঠিক তখন থেকেই একটি চক্র সুপরিকল্পিতভাবে ভুল ইতিহাস তুলে ধরার নানা ষড়যন্ত্র করছে। এ কারণে আমাদের সবার সজাগ থাকতে হবে। যেন কোনোভাবেই ওই চক্র সফল হতে না পারে। সেদিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে কানাডা প্রবাসী আকরামুল ইসলাম বলেন, গরিব মেধাবীদের সহায়তা করার মধ্যে একটা আনন্দ ও তৃপ্তি রয়েছে। আমি চেষ্টা করি চিকিৎসা, প্রকৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব গরিব মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে তাদের সহায়তা করার।
এছাড়া সম্মান ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরও মন্ত্রী সহায়তা দিয়ে থাকেন বলে জানান।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেও আমাদের উচিত গরিব মেধাবীদের সহায়তা করা। গরিব অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা একটু সহায়তা পেলে মেধাকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য অনেক বড় সম্মান বয়ে আনতে পারবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আমানুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সহ-সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার মফস্বল সম্পাদক মোত্তালেব, ঢাকা শিশু হাসপাতালের নিউরো বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবদুল আজিজ প্রমুখ।
অতিথিদের বক্তব্য শেষে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৪