ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা

ফলাফল কারসাজি অভিযোগের তদন্ত শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৫
ফলাফল কারসাজি অভিযোগের তদন্ত শুরু

বগুড়া: কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের প্রোগ্রামার পদে কর্মরত ব্যক্তিসহ কয়েকজন অসাধু শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তার যোগসাজসে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় অর্থের বিনিময়ে ফলাফল কারসাজি অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে পরিচালককে (কারিকুলাম) নির্দেশ দিয়েছেন।



বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) আব্দুর রেজ্জাক তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, যেহেতু বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ, সেহেতু তিনি সতর্কতার সঙ্গে অভিযোগটির তদন্ত করবেন। তিনি আরও জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদনটি চেয়ারম্যান বরাবর জমা দেবেন।   

এরআগে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান অভিযোগটির তদন্ত করার নির্দেশ দেন শিক্ষাবোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) আব্দুর রেজ্জাককে।

এ বিষয়ে কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মীর অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বরং অভিযোগটি শিক্ষা বোর্ডে আসেনি বলেই জানিয়েছেন।   

চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ও ০১ ফেব্রুয়ারিতে দুই দফায় বগুড়া থেকে সরকারি ডাকযোগে রেজিস্ট্রি করে বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগটি পাঠান ঢাকা শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে কর্মরত শিক্ষক মো. আক্তারুজ্জমান। যার অনুলিপি পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রী কার্যায়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যুগ্ম সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে। এতে ফলাফল কারসাজিতে বোর্ডে প্রোগ্রামার পদে কর্মরত সামসুল আলমকে দায়ী করেছেন অভিযোগকারী।

যদিও এ বিষয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার (০৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও প্রোগ্রামার সামসুল আলমকে পাওয়া যায়নি।

পাঠানো অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে প্রকাশিত রেজাল্টে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের অনেক অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা কতিপয় অসাধু শিক্ষক ও বোর্ড কর্মকর্তার যোগসাজসে টাকার বিনিময়ে পাস করিয়ে নেন। একই রকম ঘটনা ঘটেছে ওই বছরের ৫ মে প্রকাশিত ফলাফলেও।

অভিযোগকারী শিক্ষক আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, এ নিয়ে চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি ও ৩ এপ্রিল বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদ দেখে প্রোগ্রামার সামসুল আলম নানাভাবে হয়রানি ও ক্ষতি করার চেষ্টা করছেন তাকে।  

** ফলাফল কারসাজি অভিযোগের তদন্ত করবে শিক্ষাবোর্ড

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৫
আইএ          

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।