ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে জাবিতে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধর

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে জাবিতে ৫ শিক্ষার্থীকে মারধর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রী উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ ও তার পক্ষের নেতাকর্মীরা।

শনিবার ( ১৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।



এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ সালাম বরকত হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪৩তম ব্যাচের দর্শন বিভাগের ফিরোজ, বাংলা বিভাগের বিপ্লব, ইতিহাস বিভাগের অনিক, নৃবিজ্ঞান বিভাগের জামি ও বাঁধন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ওষুধ আনতে যান। এ সময় ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজিব আহমেদ ও তার পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রী সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করলে রাজিব এসে তাদের চর-থাপ্পর দেন। পরে রাজিবের ডাকে সাড়া দিয়ে শহীদ সালাম বরকত হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।

এতে তারা আহত হন। ঘটনার সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে তাদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ সালাম বরকত হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজন‍া সৃষ্টি হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েকটি খাবারের দোকান ভাঙচুর করেন। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। এ সময় এক রাউন্ড গুলিরও শব্দ পাওয়া যায়।

আহতরা জানান, আমরা বন্ধুরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম। কাউকে উদ্দেশ্য করে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য করিনি।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাদের শাসন করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। সেখানে তারা নেতিবাচক মন্তব্যের কথা স্বীকার করেছেন। এই ঘটনার যথাযথ বিচার দাবি করছি। আশা করি প্রশাসন এ ঘটনার বিচার করবে।

এ বিষয়ে জানার জন্য সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবালকে ফোন করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৫
টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।