ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে ছাত্রী উত্যক্ত নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
জাবিতে ছাত্রী উত্যক্ত নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রী উত্যক্তের জেরে মারধরের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রক্টর বরাবর পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছয় ও শেখ হাসিনা হলের এক শিক্ষার্থী।

মারধরের বিচার দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফিরোজ মাহমুদ, শফি কামাল, নিয়াজ মোরশেদ অনিক, জামিনুর রহমান, হাসান বাঁধন ও আসাদুজ্জামান পলাশ রোববার সহকারী প্রক্টর মেহেদী ইকবালের কাছে অভিযোগপত্রটি জমা দেন।

অফিস বন্ধ থাকায় সোমবার সকালে প্রক্টর অফিসে অভিযোগটি আসে।

অভিযোগপত্রে তারা বলেন, আমরা বন্ধু বিপ্লবের পেটের পীড়া নিয়ে মজা করছিলাম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিকশা নিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনি রিকশা থেকে নেমে আমাদের পরিচয় জানতে চান। আমরা নিজেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিলে তিনি হল নিয়ে কটূক্তি করেন এবং আমাদের উপর শারীরিক নির্যাতন করেন। তারপর তিনি তার অনুসারীদের ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং নিজে ফের মারধর করেন।

বিচারের দাবিতে সোমবার দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অন্যদিকে ওই ছয় শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজন উত্যক্ত করেছেন এমন দাবি করে বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। অভিযুক্তরা হলেন শফি কামাল, জামিনুর রহমান, নিয়াজ মোরশেদ অনিক, হাসান বাঁধন ও আসাদুজ্জামান পলাশ।

অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তাকে উদ্দেশ্য করে অত্যন্ত বাজে মন্তব্য করে।

এ বিষয়ে জানার জন্য প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহাকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি।

শনিবার রাতে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থী ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ওষুধ আনতে যাচ্ছিলেন। একই সময় ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজিব আহমেদ ও তার পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। ওই শিক্ষার্থীরা রাজিব আহমেদের পরিচিত ছাত্রী সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করলে রাজিব ওই শিক্ষার্থীদের দাঁড় করান এবং নেতিবাচক মন্তব্যের জন্য থাপ্পড় দেন। পরে শহীদ সালাম বরকত হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে ওই শিক্ষার্থীদের মারধর করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৫
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।