ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিপন্ন বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৫
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিপন্ন বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ

ঢাকা: প্রাণিজগতের অস্তিত্ব ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিপন্ন বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগ এটি।

মূল লক্ষ্য দেশের বিপন্ন উদ্ভিদ সংরক্ষণ করা।

এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা মঙ্গলবার (২৬ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আমাদের দেশে প্রায় পাঁচ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫শ’ প্রজাতির উদ্ভিদ দেশ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। যে সব প্রাণী এসব উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল তারা বিপদসঙ্কুল। ভবিষ্যতে এসব উদ্ভিদ ও প্রাণীর নতুন নতুন অর্থনৈতিক গুরুত্ব আবিষ্কার হতে পারে। তাই প্রাণিজগতের অস্তিত্ব, পরিবেশের ভারসাম্য ও মানবজাতির সুস্থভাবে বেঁচে থাকার স্বার্থে এসব উদ্ভিদ সংরক্ষণ অতি জরুরি।

আরও বলা হয়, দেশের সব প্রতিষ্ঠানে বিপন্ন উদ্ভিদ রোপণের মাধ্যমে সেগুলো সংরক্ষণ করা যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রোপণ করা, বিদ্যমান উদ্ভিদগুলোর প্রচলিত ও বৈজ্ঞানিক নাম, পরিবার এবং বৈশিষ্ট্য সম্বলিত লেমিনেটিং কাগজের ট্যাগ টাঙিয়ে একটি মিনি বোটানিক্যাল গার্ডেন তৈরি করা যায়।

বাংলাদেশে বৃক্ষরোপণের মৌসুম বৈশাখ মাসে শুরু হয় উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখনই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম শুরু হলে তা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে। বৃক্ষরোপণের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে বিপন্ন উদ্ভিদ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদ্বুদ্ধ করা যায়।

শিক্ষার্থীদের স্ব-অর্থায়নে কেনা চারা রোপণ ও তাদের সংরক্ষণের দায়িত্ব দিয়ে সংরক্ষণ কার্যক্রম সহজতর করা সম্ভব বলে মনে করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের সরাসরি এ কাজে সম্পৃক্ত করলে প্রতিষ্ঠানের সহপাঠ্যক্রম শিক্ষারও প্রসার ঘটবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব উদ্যোগে বিপন্ন উদ্ভিদের চারা সংগ্রহ করতে পারবে। দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির চারা সংগ্রহের জন্য বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেলের সঙ্গে ই-মেইলে ([email protected]) যোগাযোগ করা যেতে পারে।

এছাড়া ওয়েবসাইটে (www.epac.org.bd) এ সংক্রান্ত চাহিদা ফরম পূরণ করে চারা সরবরাহের ব্যবস্থা নেবে। চাহিদা ৩১ মে’র মধ্যে পাঠালে জুন মাসে সরবরাহ সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৫
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।