ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ওই নতুনের কেতন ওড়ে

ঊর্মি মাহবুব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
ওই নতুনের কেতন ওড়ে

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে: মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শনিবার (৩০ মে) সকাল থেকে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। সকালের চিন্তিত মুখগুলো দুপুর না গড়াতেই উচ্ছ্বাসে ভরে উঠে।

 

মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির ১৫৮১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলো। যার মধ্যে পাস করেছে ১৫৭৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৯ দশমি ৮১ শতাংশ। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪২৬ জন শিক্ষার্থী।

এসব কৃতী শিক্ষার্থীদের হাতেই রয়েছে দেশের ভবিষ্যত। তাদের কারো স্বপ্ন বৈমানিক হওয়া, কারো বা ডাক্তার। কেউবা আবার হতে চায় প্রকৌশলী।

প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জাহিদুল কবীরের স্বপ্ন বৈমানিক হওয়া। সে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।

জাহিদুল কবীর বাংলানিউজকে বলে, ছোটবেলায় যখন খেলা করতাম, তখনই মনে হতো, আমি যদি প্লেন উড়াতে পরতাম। তারপর ধীরে ধীরে তা আমার লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়ায় আমার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওযার পথে একধাপ এগোলাম।

এবার পরীক্ষা দেওয়ার সময় অনেক ভয়ে ছিলাম। যেহেতু হরতাল থাকতো, তাই নানা দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকতো বলেও জানালো জাহিদুল।

একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নুসরাত বিনতে করীমের স্বপ্ন বড় হয়ে ডাক্তার হবে। দরিদ্র মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে এমনটাই উদ্দেশ্য তার। বাংলানিউজকে নুসরাত বলেছে, আমার মায়ের স্বপ্ন আমি ডাক্তার হবো। আমারও একই স্বপ্ন। আজ জিপিএ-৫ পাওয়ায় মা অনেক খুশি। আমি চাই বড় হয়ে আমি ডাক্তার হবো। দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াবো।

জিপিএ-৫ অর্জন করা অনেক শিক্ষার্থী আবার দেশের রাজনীতির হাল ধরতে চায়। সুবর্ণ আলম বলে, আমার মা বাবার স্বপ্ন আমি প্রকৌশলী হবো। কিন্ত আমার ইচ্ছা আমি বড় হয়ে রাজনীতিবিদ হবো, যাতে দেশের কাজ করতে পারি।   তবে আজকের বড় কথা, আমি জিপিএ-৫ পেয়েছি।

শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এমনটাই মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম।

দুপুর সাড়ে বারোটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তাকে এ তথ্য জানানো হয় বলেও জানান ড শাহান আরা বেগম।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবারের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। শুক্রবার-শনিবার ছাড়াতো কোনা পরীক্ষাই হয়নি। রুটিন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করতে হয়েছে। ফলে বিভ্রান্তিতে ছিলো শিক্ষার্থীরা। এতো কিছুর পরও শিক্ষক, অভিভাবক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আজকের এই ফলাফলে আমরা সত্যি আনন্দিত।

প্রতিষ্ঠানটি থেকে চলতি বছর ১৫৮১ জন শিক্ষার্থী এসএসসির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। এর মধ্যে ছেলে ৭৫ শতাংশ ও মেয়ে ২৫ শতাংশ।

২০১৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল দ্বিতীয় স্থানে ছিলো।
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৮৭. ০৪ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০. ০২ শতাংশ। আর কারিগরিতে পাসের হার ৮৩.০১ শতাংশ।

মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন।

এ বছর মোট ১৪ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১২ লাখ ৮২ হাজার ৬১৮ জন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী শতভাগ পাস করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
ইউএম/এএসআর

** পেট্রোল বোমাও আটকাতে পারেনি ওদের

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।