ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৫
শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর ছবি: সোহাগ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশের শিক্ষাখাতে উন্নয়নে বেসরকারি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার (৩১ মে) রাজধানীর এলজিইডি ভবনের অডিটোরিয়ামে শিক্ষার অধিকার বিষয়ে জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতের বিশিষ্ট শিক্ষা উদ্যোক্তা কৈলাশ সত্যার্থী, পল্লী কর্মী সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ, ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশনের সমন্বয়ক ও নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।  

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শুধু সরকারি অর্খে শিক্ষার সমস্ত ব্যয়ভার বহন সম্ভব নয়। এটি শুধু আমাদের মতো দেশের নয়, উন্নত দেশের জন্যও প্রযোজ্য। তাই বেসরকারি খাতেও শিক্ষার পেছনে বিনিয়োগ প্রয়োজন।  

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাখাতে যখনই বেসরকারি বিনিয়োগ আসে, তখন তারা এটাকে লাভের জায়গা হিসেবে ধরে নেন। এই মনোভাব বাদ দিতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে অবদান রাখার অংশ হিসেবে শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবো।

তিনি বলেন, ৬ বছর আগে যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন শতকরা ৯ জন শিশু স্কুলের বারান্দায় উঠতো না। ৪৮ ভাগ ৫ম শ্রেণির আগেই ঝরে পড়তো। ৯ম শ্রেণিতে ওঠার আগে স্কুলে আসা বন্ধ হত শতকরা ৮২ জন শিক্ষার্থীর। এখন শতকরা ৯০ জনের নামই স্কুলে লেখাতে সক্ষম হয়েছি আমরা। তবে ঝরে পড়া এখনো বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রেও আমরা সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করছি। সকল শিশুকে আমরা প্রথম থেকে ৯ম শ্রেনি পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দিতে সক্ষম হচ্ছি।

এছাড়া গত বছরের বিরোধী আন্দোলনের সময়কে ‘যুদ্ধাবস্থা’ উল্লেখ করে সে পরিস্থিতিতেও সরকার বই বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তিনি।

৫ম এবং ৮ম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিলের দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা হচ্ছে অস্থায়ী অবস্থা। কিন্তু ছেলেমেয়েদের স্কুলে আকৃষ্ট করার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া প্রাথমিকে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জেন্ডার বিষয়ে আমরা আনতে পেরেছি। আগামী ৩ থেকে ৫ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়েও এই সমতা অর্জন করতে সক্ষম হবো। প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রেও শিক্ষার সমান সুযোগ রাখা হচ্ছে। তবে তাদের সঠিক সংখ্যা না জানার ফলে বই ছাপতে সমস্যা হচ্ছে। অটিস্টিক শিক্ষার্থীদের জন্যও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৈলাশ সত্যার্থী বলেন, বাংলাদেশে বিয়ের ন্যূনতম বয়স কমানো উচিত হবে না। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ছাড় দেবেন না।

তিনি বলেন, সকলের জন্য সমান শিক্ষার অধিকার প্রয়োজন। পাশাপাশি শিক্ষার গুণগত মানও নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, অসমতা প্রভৃতি এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শুধু একটি দেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, বৈশ্বিকভাবে এর মোকাবেলা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘন্টা, মে ৩১, ২০১৫
জেপি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।