ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

মালয়েশিয়ায় মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৫
মালয়েশিয়ায় মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ এস এম জহিরুল ইসলাম সবুজ

মালয়েশিয়া থেকে: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ মালয়েশিয়ার চিকিৎসা ও শিক্ষার বেশ কদর রয়েছে। নাতিশীতোষ্ণ দেশ হওয়ায় পৃথিবী অনেক দেশের  লোকের  প্রথম পছন্দ মালয়েশিয়া।

মালয়েশিয়া এখন শুধু এশিয়ার মধ্যেই নয়, বরং সারা বিশ্বে একটি উন্নত দেশ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।

শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সর্বক্ষেত্রে মালয়েশিয়া পৃথিবীর বুকে একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আর তাই বিশ্ববাসীর নজর এখন এশিয়ার এই দেশটির দিকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করেছে অভূতপূর্ব উন্নতি। সারা মালয়েশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য উন্নতমানের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রী- বিশেষত দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন।

বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী মালয়েশিয়ায় পড়তে যাচ্ছেন। তাই মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে হয়ে উঠছে বেশ জনপ্রিয়। মালয়েশিয়া বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের কেন পছন্দ এই বিষয়ে কথা বলেছেন, মালয়েশিয়া লিঙ্কন ইউনিভার্সিটি কলেজের এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক এস এম জহিরুল ইসলাম সবুজ।
Malaysia
তিনি বলেন, মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিবেচনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ মালয়েশিয়া। উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশাগত ও বিশেষায়িত কোর্সের সুযোগ রয়েছে এখানে। কম খরচে মানসম্পন্ন কোর্স  সুযোগ তৈরি হওয়ায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের পছন্দের গন্তব্য এখন মালয়েশিয়া।

যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মত দেশের বিভিন্ন নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয় এখানে তাদের শাখা খুলেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠানের সাথে একযোগে কোর্স পরিচালনা করছে।

ইংরেজি বহুল প্রচলিত হওয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ অসুবিধা হয় না এখানে। জীবনযাপনের ব্যয়ও কম। মালয়েশিয়াতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে লিঙ্কন ইউনিভারসিটি ঊল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন এখানে।

জহিরুল ইসলাম সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি উন্নতির শিখরে উঠতে পারে না। তেমনি মালয়েশিয়া লিঙ্কন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ মানুষ গড়ার কারিগর। একজন মানুষকে সুদক্ষ কারিগর হিসাবে গড়ে তোলে এই প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও  উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কাউন্সেলিংয়ে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করা। লিঙ্কন ইউনিভার্সিটি  এসব লক্ষ্য অর্জন করছে জ্ঞান ও সাংস্কৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট ও সময়োপযোগী বিভিন্ন কোর্স অফারিংয়ের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টি সময়োপযোগী বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে  সৃষ্টিশীল শিক্ষাকে উৎসাহিত করছে।

সবুজ আরো বলেন, গতানুগতিক শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে পারে না। একজন শিক্ষার্থীর মানবিক গুণাবলী ও নৈতিকতা বিকাশের জন্য পাঠ্যপুস্তক নির্ভর লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রয়োজন নিজেকে মানসম্মত শিক্ষা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে অধিষ্ঠিত করা। মালয়েশিয়া লিঙ্কন ইউনিভার্সিটি কলেজ ক্রমাগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বদ্ধ পরিকর। তাই এই বিদ্যাপিঠটি একজন শিক্ষার্থীকে অধ্যয়নের মাধ্যমে ভাল ফলাফলের পাশাপাশি নীতি ও আদর্শের পথে চলতে উৎসাহ দেয়।

সুপরিকল্পিত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের সোনালী সোপানের আলোকিত পথে অগ্রসর করার ক্ষেত্রে অঙ্গীকারাবদ্ধ। শিক্ষা জাতিকে মুক্তি দেয়। আর নিরক্ষরতা মানুষকে শৃংখলিত করে রাখে। নিরক্ষর মানুষ কোন অবদান রাখতে পারে না।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে বাংলাদেশি অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আর লিঙ্কন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাংলাদেশকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। তাই বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি রয়েছে আন্তরিকতা ও ভালোবাসা। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের ইএমজিএস ফিসের ৫০ শতাংশ বহন করে প্রতিষ্ঠানটি।

সবুজ বলেন, বাংলাদেশের প্রতি বিশেষ আন্তরিকতার কারণেই বাংলাদেশেও এই প্রতিষ্ঠানটির আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। যেখানে ৭০ থেকে ৮০ জন কর্মচারি কর্মকর্তা চাকরি করেন। রয়েছে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি ব্যবস্থা। বাংলাদেশে লিঙ্কনের আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- লিঙ্কন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লিঙ্কন মেডিকেল অ্যাসিস্টান্ট ট্রেনিং স্কুল এবং লিঙ্কন  কলেজ।

সবুজ বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষে কাজ করছে লিঙ্কন ইউনিভার্সিটি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।