ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

বেসরকারি স্কুল-কলেজেও ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০১৫
বেসরকারি স্কুল-কলেজেও ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশনা

ঢাকা: সরকারি কলেজগুলোর জন্য নিজস্ব খরচে ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশনার পর এবার দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বেসরকারি কলেজে ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি ও হালনাগাদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে ওয়েবসাইট তৈরি জন্য মঙ্গলবার (০২ জুন’২০১৫) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করেছে।



আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে ঠিকানাসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে।

গত ৮ জানুয়ারি সকল সরকারি কলেজে ওয়েবসাইট তৈরির নির্দেশ দিয়ে একটি স্মারক পত্র জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ওয়েবসাইট তৈরি ও হালনাগাদের নির্দেশনায় বলা হয়, পাঠদান অধিকতর ফলপ্রসু করার জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন।

ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য ও ছবি যেমন: প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি ও ইতিহাস, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কনটেন্ট, ভূমির তফসিল, ভূমির মালিকানা তথ্য, ভবন, কক্ষ সংখ্যা, শিক্ষার্থীর জন্য আসন, যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধা, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও কম্পিউটার ল্যাব, কম্পিউটার ব্যবহার, পরিচ্ছন্নতা, শরীরচর্চা স্যানিটেশন, পঠিত বিষয়, বিগত ৩ বছরের পাবলিক পরীক্ষার ফল, ম্যানেজিং কমিটি ইত্যাদি তথ্য অন্তর্ভূক্ত করতে বলা হয়েছে।

ছাত্রীদের তথ্য শুধুমাত্র শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবকগণ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে দেখতে পারবেন।

পরিপত্রে বলা হয়, প্রতিদিন ক্লাস শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে শ্রেণি অনুসারে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির সংখ্যা ও শিক্ষকদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির সংখ্যা ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে।

ওয়েবসাইটে ক্লাস রুটিন, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, বাৎসরিক ছুটি, বিভিন্ন বিষয়ের ই-বুক থাকবে।

ওয়েবসাইট হালনাগাদ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন লোকবল না থাকলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কাজ চালাতে হবে। প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজনগণ ওয়েবসাইট নিয়মিত তদারকি করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট প্রতিবেদন দেবেন। তিনি জেলা শিক্ষা অফিসার ও জেলা শিক্ষা অফিসার ৩মাস পর প্রতিবেদন দেবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে।    

পরিপত্রে বলা হয়, বিদ্যুৎহীন প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষানুরাগীর সহায়তায় সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে কার্যক্রম চালাতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৫
এমআইএইচ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।