ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি

হলিক্রস, নটরডেম ও সেন্ট জোসেফে ভর্তি পরীক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৫
হলিক্রস, নটরডেম ও সেন্ট জোসেফে ভর্তি পরীক্ষা

ঢাকা: উচ্চ মাধ্যমিকে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষে মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা নীতিমালা রাজধানীর তিন কলেজের ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

ফলে মেধা তালিকায় নয়, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই রাজধানীর হলিক্রস, নটরডেম ও সেন্ট জোসেফ কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।



এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (০৮ জুন)  এ নীতিমালা তিন কলেজের ক্ষেত্রে স্থগিত করে আদেশ দেন।

পাশাপাশি হাইকোর্ট রুলও জারি করেন। রুলে এ তিন কলেজের ক্ষেত্রে মেধা তালিকায় ভর্তির নীতিমালার ৬টি ধারা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভুত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও কলেজ পরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল।

সারাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তির ক্ষেত্রে মেধা তালিকা অনুসারে ভর্তির জন্য একটি নীতিমালা গত ১ জুন জারি করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান।

এ নীতিমালার ৩.১, ৪.১, ৪.২, ৫.৩, ৯.১ ও ৯.৩ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিন কলেজের অধ্যক্ষরা। তারা হলেন, হলিক্রস কলেজের অধ্যক্ষ সিস্টার শিখা এল গোমেজ, নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার হেমন্ত পিয়াস রোজারিও এবং সেন্ট জোসেফ কলেজের অধ্যক্ষ ব্রাদার রবি ফিউরিফিকেশন।

নীতিমালার ৩.১ ধারায় বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না। কেবল শিক্ষার্থীদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

৪.১ ধারায় বলা হয়েছে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন অথবা টেলিটক এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। ৪.২ ধারায় বলা হয়েছে, আবেদন ফি ১৫০ টাকা, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ৫ কলেজে পছন্দক্রম দিতে পারবে। অনলাইনে একবার আবেদন করতে পারবে। প্রতি কলেজের জন্য আবেদন ফি ১২০ টাকা।

৫.৩ ধারায় বলা হয়েছে, এসএমএস প্রাপ্তির পর মেধাক্রম অনুসারে কলেজের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। কোনো কারণে আসন শূন্য হলে বোর্ডের পছন্দ অনুসারে ২য় মেধাক্রম প্রকাশ করতে হবে।

৯.১ ধারায় বলা হয়েছে, সকল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। ৯.৩ ধারায় এ নীতিমালা না মানলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫
ইএস/ জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।