ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার মান বেড়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৫
‘সেকায়েপ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার মান বেড়েছে’ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: ‘সেকায়েপ প্রকল্পের অধীনে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষাদানের ফলে শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে। একই সঙ্গে পাশের হার বৃদ্ধি, কোচিং বাণিজ্য ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমেছে।


 
সোমবার (৮ জুন) বিকেলে বিয়াম মিলনায়তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের বার্ষিক পরিকল্পনা কর্মশালার শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা বলেছেন।
 
সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট (সেকায়েপ) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
 
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিখন-শিক্ষণ পদ্ধতিতে গুণগত ও মৌলিক পরিবর্তনের জন্য সেকায়েপ ইংরেজি ভাষা ও গণিত বিষয়ে সহায়তা প্রদান করেছে। এজন্য ৪০০টি প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত আড়াই বছরে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে অহেতুক ভীতি দূর করতে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রায় ৯ লাখ ৫৪ হাজার ক্লাস নিয়েছেন।
 
তিনি বলেন, এর ফলে প্রতিষ্ঠানে গুণগত শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে, পাশের হার বৃদ্ধি, প্রাইভেট কোচিং বাণিজ্য হ্রাস ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে।
 
২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে প্রায় ২ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসা এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেকায়েপ এ কর্মসূচিকে আরও পরিশীলিত ও শক্তিশালী করে ইংরেজি ভাষা ও গণিতের পাশাপাশি বিজ্ঞান বিষয়ে শিখন-শিক্ষণে সহায়তা প্রদান করছে।
 
যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক নেই, সেখানে চাহিদার অনুযায়ী অতিরিক্ত ক্লাস শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
 
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের ২৩ হাজার স্কুল ও মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম করা হয়েছে। পর্যয়ক্রমে দেশের সব স্কুল ও মাদ্রাসাকে মাল্ডিমিডিয়া ক্লাসরুম ও প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হবে।
 
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, প্রথম দিকে ষষ্ঠ শ্রেণীতে বইয়ের পরিবর্তে প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু করার। পরে অন্যান্য শ্রেণীতেও প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু করা হবে।
 
ডিজিটাল বাংলাদেশের যে কার্যক্রম চলছে, শিক্ষাক্ষেত্রেও এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত
করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন নুরুল ইসলাম নাহিদ।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও সেকায়েপ পরিচালক ড. মাহমুদ-উল-হক। এছাড়া জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
 
দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় সেকায়েপভুক্ত ৯০টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ২৪টি জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা অংশ নেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫
 টিএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।