ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

নবীন বরণ

বঙ্গবন্ধুর চেতনা লালনের আহ্বান বেরোবি উপাচার্যের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৫
বঙ্গবন্ধুর চেতনা লালনের আহ্বান বেরোবি উপাচার্যের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রংপুর: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী বলেছেন, আজকের তরুণরাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব দেবে। তাই তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনা ও আদর্শ লালন করতে হবে।

কারণ বঙ্গবন্ধুই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না।

রোববার (১৪ জুন) দুপুরে বেরোবির ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একাত্তর সালে বাংলাদেশ নামে যে মহাকাব্য রচিত হয়েছে, এর মহাকবি হলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই মহাকবির চেতনা ধারণ করে দেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।

অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ ও কবি রুবী রহমান।

নবীন বরণ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ড. তুহিন ওয়াদুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. নাজমুল হক, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. মো. মতিউর রহমান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. তাজুল ইসলাম, উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. আর এম হাফিজুর রহমান, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মোর্শেদ উল আলম রনি, শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাদীয়া কবীর ও মো. মোন্নাফ।

নবীনদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, ভর্তি পরীক্ষার মতো যুদ্ধ জয় করে প্রমাণ করেছো তোমরা মেধাবী। তোমাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে নিজেদের দেশের সেরা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তোমাদের রোকেয়ার সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে, কোনো অপসংস্কৃতি নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো করেই ভাবতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, এখানে পঠন-পাঠন, গবেষণা আর মুক্তচিন্তার প্রসার ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় রাজনীতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ১১টায় সমবেত জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে বিভিন্ন অনুষদের ডিনদের বক্তৃতাকালে স্ব স্ব অনুষদের নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।