ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির ৪২৫ কোটি টাকার বাজেট পাশ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৫
ঢাবির ৪২৫ কোটি টাকার বাজেট পাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য ৪শ’ ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট পাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শনিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে এ বাজেট পাশ হয়।



সকাল সকাল সাড়ে এগারোটায় এ অধিবেশন শুরু হয়ে চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দীন ২০১৫-১৬ সালের জন্য ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রস্তাবিত এই বাজেট উত্থাপন করেন।

এরপর বাজেটের ওপর আলোচনা করেন সিনেট সদস্যরা। আলোচনা শেষে উপাচার্য বাজেট পাশের প্রস্তাব করলে সর্বসম্মতিক্রমে তা পাশ হয়।

এর আগে ১৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এ বাজেট অনুমোদন দেয়। উত্থাপিত বাজেট থেকে দেখা যায়, এই বাজেটের ৮৭.২৩ শতাংশ অর্থই আসবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বরাদ্দ থেকে। এর পরিমাণ ৩৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে আসবে ৩৯ কোটি টাকা, যা মোট খরচের ৯ শতাংশ। এরপরও ঘাটতি থেকে যাবে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।

আগামী এক বছরের জন্য গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র সাড়ে চার কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১.০৬ শতাংশ।   যদিও আগের বছরের তুলনায় এ বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় তিন কোটি ১০ লাখ টাকা।

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ বছর ঘাটতি থাকছে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

বরাবরের ন্যায় এ বছরও বাজেটের বৃহৎ অংশ ব্যয় হবে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ, যা মোট বাজেটের ৫৮.৮৮ শতাংশ। বই পুস্তক, জার্নাল ক্রয়, কেমিক্যাল ও ইকুইপমেন্ট, শিক্ষা সফর, ছাত্রদের পরিবহন প্রভৃতি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে ব্যয় হবে ১২.৯৯ শতাংশ। পেনশনে ১৬.৪৫ শতাংশ ও সাধারণ কার্যক্রমে ব্যয় হবে ৯.৬৩ শতাংশ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক তার বক্তব্যে বলেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে জাতি, ভাষা, ধর্ম, অর্থনৈতিক অবস্থা, শারীরিক অসমর্থতা, সাংস্কৃতিক কিংবা কোন সামাজিক বৈষম্যকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ গবেষক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকে হতে হবে ব্যাপ্ত, জীবন, সমাজ ও সভ্যতার বিবিধ বিষয় আশ্রয়ী। তিনি পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতায় সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংকট সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি শিক্ষা কার্যক্রমকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও গতিশীল করতে গৃহীত নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ইতোমধ্যেই নতুন নতুন বিভাগ ও কোর্স চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন ল্যাব ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান গবেষণাসহ সার্বিক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীলতা অর্জন করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৫
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।