ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিচ্ছুদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বিড়ম্বনা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তিচ্ছুদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বিড়ম্বনা

মধুপুর (টাঙ্গাইল): ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছুদের অনলাইনে ভর্তির ফলাফল নিয়ে গত তিন দিনের সৃষ্ট জটিলতায় এবার ট্রান্সক্রিপ্ট বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে। ভর্তি হতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ এবং সাইবার ক্যাফে ঘুরে ঘুরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ফলাফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড গত ৬ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দেয়। ভর্তি আবেদনকারীদের ২৫ জুন ফল প্রকাশের ঘোষণা দিয়েও ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।

২৬ জুন রাত সাড়ে ১১টায় পুনর্নিধারিত সময়েও প্রকাশ হয়নি ভর্তি প্রক্রিয়ার ফল। সর্বশেষ শনিবার (২৭ জুন) রাত ৮টায় ফল প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে ব্যর্থ হয়ে ঢাকা বোর্ড ফের রোববার (২৮ জুন) ফল প্রকাশের ঘোষণা দেয়। বার বার ফল প্রকাশের তারিখ ও সময় পরিবর্তনে পদে পদে নাকাল হচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

মূল ট্রান্সক্রিপ্ট জমা দিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নিয়ম থাকায় সেটা হতে না পেরে ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীদের মত টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বজলুর রশীদ খান বাংলানিউজকে জানান, বোর্ড গত ২৫ জুন এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বিতরণ করতে গিয়ে ওই দিনই দুপুরের পর হঠাৎ তা বিতরণ বন্ধ করে দেয়। বিতরণ করা ট্রান্সক্রিপ্টে জিপিএ এবং গ্রেড পয়েন্টে অসঙ্গতি থাকায় এ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

ইতোমধ্যে বিতরণ করা ট্রান্সক্রিপ্ট ফেরত দিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বোর্ড অলিখিত নির্দেশ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

ধনবাড়ী উপজেলার নওয়াব ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম জানান, ভুলে ভরা অধিকাংশ ট্রান্সক্রিপ্ট নিয়ে আমরা পড়েছি বিপাকে। খুব দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সংশ্লিষ্টদের দুভোর্গ আরও বাড়বে।

একই উপজেলার ধনবাড়ী কলেজিয়েট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মীর আশরাফ হোসেন ও নল্লা মমতাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, অনলাইন থেকে ডাউনলোড করা বোর্ডের ট্রান্সক্রিপ্টে প্রতিষ্ঠান প্রধানের স্বাক্ষর থাকলে সেটা দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে এমন নির্দেশ পেয়ে সেটা করা হচ্ছে। কিন্তু দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা।

এদিকে, মূল ট্রান্সক্রিপ্ট না পেয়ে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের ভর্তি এবং ১ জুলাই থেকে ক্লাস শুরু নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনিশ্চতা।

উল্লিখিত তারিখ ও সময়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা একবার যাচ্ছেন বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে সাইবার ক্যাফে এবং শেষে ভর্তির জন্য পছন্দের কলেজে। পদে পদে হয়রানি হয়ে কোথাও সমাধান পাচ্ছেন না তারা। ফলে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয় ও উদ্বিগ্নতা।

সদ্য এসএসসি পাস করা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিচ্ছু বুলবুল আহমেদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি এ প্লাস পেয়েছে। কিন্তু একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে উল্লেখ আছে জিপিএ-৪। দেশের সেরা শিক্ষা বোর্ডের কাছে এমন ভুল সত্যিই দুঃখজনক।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।