জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ফেসবুকসহ বন্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার(০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জোবায়ের টিপু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদিক সুস্মিতা মরিয়ম, সাংস্কৃতিক সংগঠন আনন্দনের সভাপতি মিজানুর রহমান টিটু, নৃবিজ্ঞান বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক ভূঞা প্রমুখ।
জোবায়ের টিপু বলেন, সাধারণ জনগণের জন্য ফেসবুক বন্ধ রেখে সরকারি দল এবং সরকারের লোকজন বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার করে দলের এবং সরকারের বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছে । এটা অত্যন্ত হাস্যকর।
সুস্মিতা মরিয়ম ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি করে বলেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করবে। অবিলম্বে এটি বাতিল করতে হবে।
নিরাপত্তার জন্য দু-চারদিন ফেসবুক বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা থাকতে পারে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার মানে কি? নিরাপত্তার অজুহাতে
সরকার জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশকে রুদ্ধ করছে।
মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার আলম বলেন, ফেসবুক বাংলাদেশে বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। স্বাধীন মত প্রকাশের স্বার্থে অবিলম্বে এটি খুলে দেয়া উচিত।
এছাড়া বক্তারা ফেসবুকে প্রচারণার মাধ্যমে গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে স্বাধীন মত প্রকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে এটি খুলে দেবার আহ্বান জানান সরকারের কাছে।
এ সময় ‘ফেসবুক কি আইনত নিষিদ্ধ?’, ‘মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলাই কি সমাধান?’, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ না’ ইত্যাদি
শ্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫
আরআই