ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘বিজ্ঞান পড়েও বিজ্ঞান মনষ্ক হতে পারছি না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৬
‘বিজ্ঞান পড়েও বিজ্ঞান মনষ্ক হতে পারছি না’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজান উদ্দীন বলেছেন, ‘আমরা বিজ্ঞান পড়ি এবং পড়াই। কিন্তু বিজ্ঞান মনষ্ক হতে পারছি না।

আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন করার প্রবণতা বাড়াতে হবে। আর শিক্ষকদের সেই উত্তর দেওয়ার ধৈর্য্য এবং যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এখন যেহেতু বিশ্বায়নের যুগ তাই ঢাকার থেকে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। ’

বিভাগীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০১৬ এর রাজশাহী বিভাগীয় অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে বিভাগীয় বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস অরুণ কুমার বসাক বলেন, ‘বিজ্ঞান চর্চার মূল কথা হলো বিষয়টি সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখা। মূলত আমাদের ভিত্তিকে দৃঢ় করতে হবে। কেননা মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আর যাই হোক বিজ্ঞান চর্চা সম্ভব নয়। আমাদের যদি বিজ্ঞান নিয়ে ভালো ধারণা থাকে তবে পরীক্ষাতে নম্বর এমনিতেই আসবে। কিন্তু ভালো নম্বর পেয়েও যদি ভালো ধারণা না রাখতে পারি তবে সেই বিজ্ঞান চর্চা করে লাভ নেই। ’

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ও একটি জাতীয় দৈনিকের আয়োজনে অনুষ্ঠানের পৃষ্টপোষক ছিল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আলী আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবির বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক হাবিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সৌরভ হাবিব, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আঞ্চলিক প্রধান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের ২০ শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। দুই গ্রুপের ১০ জনকে মেডেল দেওয়া হয়।

আগামী ২২ জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় অলিম্পিয়াডে অংশ নেবেন তারা।

স্কুল পর্যায়ে (নবম-দশম শ্রেণি) প্রথম স্থান অধিকার করেন গভ. ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী এহজাজ আবরার সাজিদ, ২য় হন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুলের মাহফুজ ইসলাম আদ্র, ৩য় হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের সাদাত বিন মোস্তফা, অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাহমুদ ওয়াসিফ ইয়াসরিব ৪র্থ এবং রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুলের মীর ফারজানা করিম ৫ম হন।

কলেজ পর্যায়ে (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) প্রথম থেকে চতুর্থ স্থান অধিকার করেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে ১ম হন ইসতিয়াক কবির রাতুল, ২য় আব্দুল্লাহিল কাফী, ৩য় নিকিতা রহমান, ৪র্থ আসিত ইমতিয়াজ এবং ৫ম হন নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজের নাইম সিদ্দিক।

এর আগে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক বাসুদেব কুমার দাস, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ আহমেদ নকীব, গণিত বিভাগের অধ্যাপক গৌর চন্দ্র পাল, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অণিল চন্দ্র দেব এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ইমেরিটাস অরুণ কুমার বসাক।

বিজ্ঞানকে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলা ও বিজ্ঞানের ধারণাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে আয়োজিত বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানটি দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

প্রথম ভাগে অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন ঘোষণা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। ‍

অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৬
এসএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।