ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সোমবার শুরু

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে পৌনে ২ লাখ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী বেড়েছে পৌনে ২ লাখ

ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি)।

এবারের পরীক্ষায়  অংশ নিচ্ছে ১৬ লাখ  ৫১ হাজার ৫২৩ শিক্ষার্থী।

এর মধ্যে ৮ লাখ ৪২ হাজার ৯৩৩ জন ছাত্র এবং ৮ লাখ ৮ হাজার ৫৯০ জন ছাত্রী।

গত বছরের চেয়ে এবারের পরীক্ষায় এক লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে। এর মধ্যে ছাত্র বৃদ্ধি পেয়েছে ৭৯ হাজার ৫৯৪ জন এবং ছাত্রী বৃদ্ধি পেয়েছে ৯২ হাজার ৬৬৩ জন। গতবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।
 
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে  পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
 
তিনি জানান, এবার ৩ হাজার ১৪৩টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ১১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। গত বছরের চেয়ে এবার ৩১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ২৭টি কেন্দ্র বেড়েছে।
 
বিদেশে আটটি কেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ সব কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০৪ জন।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৭ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৭৪ জন। বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা (১, ২, ৩ ও ৪ বিষয়ে) ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭৪ জন।
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষক ও শিক্ষকদের উত্তরপত্রে কম বা বেশি নম্বর দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। যার যা প্রাপ্য, তাই দিতে হবে।
 
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা একেবারেই নেই। সন্দেহজনক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি নজরদারিও আছে। কোচিং সেন্টার ও ফটোকপির দোকানেও নজরদারি রয়েছে।
 
এছাড়া ফেসবুকে এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা যেন বন্ধ করে দেওয়া যায়, সেজন্য বিটিআরসিকে বলা হয়েছে।
 
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা আগে হবে। পরে হবে সৃজনশীলের পরীক্ষা। দুই অংশের পরীক্ষার মাঝে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেলিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন অটিস্টিক এবং ডাউন সিনড্রোম বা সেলিব্রাল পালসি আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩০ মিনিট বাড়ানো হয়েছে।

প্রথমবারের মতো এবার সাতজন অটিস্টিক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে- যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ৮ মার্চ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ৯ মার্চ থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ মার্চ। নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা নেওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
এসএমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।