জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবীর তার রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের কান ধরিয়ে উঠবস করালেও র্যাগিং বন্ধ হয়নি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে কান ধরে উঠবস করানোর সচিত্র খবরটি বাংলানিউজে প্রকাশিত হয়।
র্যাগিংয়ের জন্য কুখ্যাতি অর্জন করা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অপসংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। এ বছর নবীনবরণের সময় যাতে র্যাগিং না হয়, সেজন্য যথেষ্ট সতর্ক ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু বেপরোয়া র্যাগিংকারীরা কৌশল পরিবর্তন করে বিভিন্নভাবে র্যাগিং চালাতে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুই দফায় বাস ছাড়ে বিকেল ৩টায় এবং ৪টায়। যাদের ৩টার বাস ধরার কথা, তাদের ক্লাসে আটকে রাখা হয় ৪টা পর্যন্ত। আর যারা ৪টার বাস ধরবেন, তাদের আটকে রাখা হয় ৫টা পর্যন্ত- র্যাগিংয়ের এটাই এখন নতুন কৌশল।
ক্লাস শেষে আটকে রাখায় ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ধরতে পারেন না। পাবলিক বাসে যাতায়াত বরতে গিয়ে তারা শিকার হচ্ছেন নানা বিড়ম্বনার।
প্রথমবর্ষের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক, যিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা, ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, এই যুগে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন র্যাগিং গ্রহণযোগ্য নয়।
র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
র্যাগিং নিয়ে রোববার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলাবিধি আপডেট করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগগুলোকে র্যাগিংয়ের বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ হাফিজুর রহমান বলেন, র্যাগিং প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সক্রিয় ভুমিকা পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, এই অভিযোগটি আমিও পেয়েছি। পরে বিভাগীয় সম্পাদককে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলেছেন উপাচার্য। আগামীকাল (সোমবার) বিভাগীয় সভাপতি এ বিষয়ে খোঁজ নিবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
এমআইএইচ/আরএইচ
** জাবিতে র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে শিক্ষার্থী অসুস্থ