ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুদে মন্ত্রিসভার নির্বাচন শুরু সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
খুদে মন্ত্রিসভার নির্বাচন শুরু সোমবার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্রের চর্চা ও অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শতভাগ ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধের উদ্দেশ্য নিয়ে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসায় দুই দফায় স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন শুরু হচ্ছে সোমবার (২১ মার্চ)।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩১ মার্চ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।



শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলেন এ তথ্য জানান।

১৬ হাজার ৪২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ছয় হাজার ৫৬৭টি দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ৪৮৭টি উপজেলা ও আটটি মহানগরে ২২ হাজার ৯৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বছর নির্বাচন হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। ২২ মার্চ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কারণে ১০২টি উপজেলায় আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচন হবে।

প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষভোটে নির্বাচিত আটজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক বছরের জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট গঠিত হয়।

গত বছর পরীক্ষামূলক নির্বাচনের পর এবার ১ লাখ ৮৩ হাজার ৯২৮টি পদের জন্য প্রায় পাঁচ লাখ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এবার মোট ভোটার ৯৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯৫ জন।

তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মার্চ ছিলো প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন।

একজন ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি, সর্বোচ্চ তিন শ্রেণিতে ২টি করে মোট ৮টি ভোট দিতে পারবে। প্রত্যেক শ্রেণি থেকে একজন করে পাঁচ শ্রেণি (ষষ্ঠ থেকে দশম) থেকে ৫ জন ও পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত তিন শ্রেণির ৩ জন মোট ৮ জন নিয়ে স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট গঠিত হবে।

ক্যাবিনেট প্রতিমাসে কমপক্ষে একটি সভা করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন। প্রতি ছয় মাস অন্তর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে ক্যাবিনেটের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

স্টুডেন্ট ক্যাবিনেটের কর্মপরিধির মধ্যে রয়েছে পরিবেশ সংরক্ষণ, পুস্তক ও শিখন সামগ্রী বিতরণ, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানিসম্পদ, বৃক্ষরোপন ও বাগান তৈরি দিবস পালন ও অনুষ্ঠান সম্পাদন, অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন এবং আইসিটি।

নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং শৃঙ্খলার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই পালন করবে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা সার্বিক সহযোগিতা করবেন।

ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীরা এই নির্বাচনের ভোটার, তবে নির্বাচনে কোনো প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচনের উদ্দেশ্য নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিশোর বয়স থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধা, শিক্ষকদের সহায়তা, শতভাগ শিক্ষার্থীর ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা, শিখন-শিখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ততা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

গত বছরের ৮ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে দেশের প্রত্যেক উপজেলায়/মহানগরে মাধ্যমিক পর্যায়ের তিনটি প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট গঠন করা হয়।

শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, ব্যানবেইসের পরিচালক মো. ফসিউল্লাহসহ কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবছর প্রায় ৬২ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৬/আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা.
এমআইএইচ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।