ঢাকা: সকালে স্কুলে ঢুকতে বিপত্তি, বিকেলে বাড়ি ফিরতেও সীমাহীন যন্ত্রণা— কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এটাই যেন নিয়তি! রাস্তায় অবৈধ পার্কিংয়ে এক লেনে গাড়ি চলায় স্থায়ী যানজট রোজকার কাহিনী, পাশের ফুটপাতেও নেই হাঁটার পথ, গড়ে উঠেছে ছাপড়াঘর। কোথাও-কোথাও আবার পাকা ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা।
রাজধানীর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মতিঝিল মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত যেন এমনই ‘সংগ্রামের’। সংগ্রামের বিষয়টি জানালেন ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য, বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলেও কাজ হচ্ছে না। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তাদের হাতে নেই।
কমলাপুর বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গে প্রাইভেট রয়েল কোচের গাড়ি পার্কিং স্কুলের সামনের সড়কেই। অন্যদিকে স্কুল ঘেঁষে হাঁটার পথ ফুটপাতে গড়ে উঠেছে ছাপড়া বস্তি-ঘর। একই সঙ্গে ম্যানহোলের নেই ঢাকনা। এতে একদিকে রাস্তায় যানজট, অন্যদিকে চলাফেরার অনুপযোগী ফুটপাত। রয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কাও।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে বলেন, এটি আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। আমরা বারবার বিআরটিসি এবং সোহাগ পরিবহনকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন স্কুলের সামনে বাস না রাখেন। কিন্তু তারা বিরত থাকছেন না। রাতেই মূলত তারা বেশি গাড়ি রাখছেন, যা সকালে বের হয় এবং অন্য গাড়ি এসে সে স্থান নেয়। ফলে পার্কিং সব সময়ই থেকে যায়। পাশাপাশি ফুটপাতও ব্যবহার করার মতো পরিবেশে নেই।
এ নিয়ে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ সমস্যার কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অসুবিধা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে রয়েছে যানজটের প্রভাবও। দীর্ঘদিনের এ সমস্যা মোকাবেলায় আমরা একটি আবেদনপত্র প্রস্তুত করেছি। যা অচিরেই সিটি করপোরেশনে জমা দেওয়া হবে।
এছাড়া এ বিষয়ে লেখালেখির মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর কাড়া সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাংলানিউজকে জানান, তিনি যখন দায়িত্বে ছিলেন তখনই অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ আসে। সিটি করপোরেশনই শুধু নয়, পুলিশ ও ট্রাফিক প্রশাসন এ নিয়ে উদ্যোগী হলে পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব। এতে দূর হবে শিক্ষার্থী ভোগান্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬
আইএ/এএসআর