ঢাকা: দায়িত্ব নেয়ার আগের সময়ের চেয়ারম্যানের পারিশ্রমিকের নয় লাখ ছয় হাজার টাকা পকেটে পুরেছেন কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। তদন্তের পর এই দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অডিট ও আইন) আব্দুল্লাহ আল হাসান চৌধুরী দুর্নীতির তদন্ত করেছেন।
আব্দুল্লাহ আল হাসান বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
তদন্তে কী ফাইন্ডিংস এসেছে তা বিস্তারিত জানাননি এই কর্মকর্তা।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরপত্র, ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরিসহ বিভিন্ন খাতে চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। বর্তমান চেয়ারম্যান ২০১৫ সালের মার্চে যোগ দিলেও ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অন্য চেয়ারম্যানের পারিশ্রমিকের নয় লাখ ছয় হাজার টাকা তুলেছিলেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিযোগে উঠার পর তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তদন্ত শুরুর পর তিনি দুই কিস্তিতে আট লাখ ৩২ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভোকেশনাল শাখার পরিচালক থাকার সময়ে অনিয়মের কারণে তাকে পরবর্তীতে দিনাজপুর পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।
নিয়ম ভেঙে বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের নেতাদের নিয়ে বিমানে করে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতেরও অভিযোগ এসেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
এসব বিষয়ে বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোন এবং টেলিফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৬
এমআইএইচ/এসএইচ